*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ করোনাভাইরাসের টিকার আওতা আরও বাড়াতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদেরও এখন টিকার জন্য নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
কোভিডের টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনের ‘পরিচয় যাচাই’ অপশনে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ছাত্রছাত্রীদের নিবন্ধনের নতুন একটি অপশন খোলা হয়েছে।
বর্তমানে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিক করোনাভাইরাসের টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারেন। এখন ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরাও সে সুযোগ পাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারের (এমআইএস) পরিচালক এবং এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান শুক্রবার সময় সংবাদ লাইভকে বলেন, “গতকালই এই অপশনটি চালু হয়ে গেছে। সাধারণ নাগরিকের জন্য ২৫ বা তার বেশিই আছে এখনও। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য এটা ১৮ বছর বা তার বেশি করা হয়েছে।”
তিনি জানান, বলেন সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে নিবন্ধনের ফরম পূরনের সময় ‘পেশা’র ঘরে ছাত্রছাত্রী লেখা থাকতে হবে। যারা রেজিস্ট্রেশেনের সময় ‘পেশা’র ঘরে ছাত্রছাত্রী লিখে পূরণ করেছেন, তারা নিজেরাই নিবন্ধন করতে পারবনে।
“আর যারা এভাবে ফিলাপ করে নাই, তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসতে হবে। যে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, সেখান থেকে যে তালিকা পাঠাবে, সেখানে নাম থাকতে হবে।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতির উন্নতি না শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু করা যায়নি।
দীর্ঘ লকডাউন শেষে গত ১১ অগাস্ট থেকে সব কিছু চালু হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছে সরকার।
তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুকূল হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে টিকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার আগে সুরক্ষা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে (surokkha.gov.bd) নিবন্ধন করতে হয়। গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। শুরুতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হলেও ফেব্রুয়ারির শুরুতে তা ৪০ বছরে নামিয়ে আনা হয়।
গত ৫ জুলাই ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদেরও টিকার জন্য নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর ১৯ জুলাই সেই সীমা ৩০ বছর এবং ২৯ জুলাই ২৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়।
এর বাইরে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা যে কোনো বয়সী ব্যক্তিরা টিকার জন্য নিবন্ধন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশে ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৪ নাগরিক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
তাদের মধ্যে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৭ জন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ জন।