সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট : মা ইলিশের সুরক্ষায় ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে টানা ২২ দিনের জন্য পদ্মা-মেঘনায় নিষিদ্ধ হচ্ছে সকল ধরণের মাছ শিকার। আজ ১৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হচ্ছে এ নিষেধাজ্ঞা। যা চলবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
এই ২২ দিনে ইলিশ মাছ শিকার, বিক্রি, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
গতকাল ১২ অক্টোবর, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়সীমা ২২ দিন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, এসময় দেশের জলসীমায় অর্থাৎ ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মা-ইলিশ আহরণ করতে দেয়া হবে না। মা-ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কাউকে মাছ ধরতে দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ‘নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে।’
এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান আসলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে বলে সতর্কও করেন দেন তিনি।
এবার অভয়াশ্রমগুলোতে গত বছর থেকে ছয় দিন পিছিয়ে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলেরা নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম তীরে তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চাঁদপুরে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ৫১ হাজার ১৯০ জন জেলের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ৫০ হাজার জেলেকে সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
এদিকে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৪১ উপজেলায় দুই লাখ ৮২ হাজার ৫০০ জেলে পরিবারের জন্য পাঁচ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।