Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩৬.৯৬°সে

দেশে উৎপাদিত হ্যান্ড সেট আমদানি নির্ভরশীলতা নামিয়ে এনেছে প্রায় শূন্যের কোঠায় !

সময় সংবাদ রিপোর্ট : উন্নত দেশ গুলোর ভীত মজবুত করতে প্রযুক্তির নির্ভরতা বাড়ছে। বাংলাদেশের মত ৩য় বিশ্বের একটি দেশে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে স্বপ্ন দেখা দুঃসাহসিকতার কাজ। “ডিজিটাল বাংলাদেশ” মানেই হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে অর্থাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষও ডিজিটাল যুগসূত্রে সম্পর্ক গড়াবে সারা বিশ্বের মানুষের সাথে।

প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সেবার পরিধি বাড়ায় দেশে ক্রমেই মোবাইল ফোনের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে স্মার্ট ফোন ও ফিচার ফোনের চাহিদা কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার “মেইড ইন বাংলাদেশ ” অর্থ্যাৎ দেশে উৎপাদিত হ্যান্ড সেট তৈরী করে আমদানি নিভরশীলতা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে। আমি শিক্ষা জীবন শেষ করেই ২০০৩ইং থেকে ২০১০ইং সালের শেষ অব্দি বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় ব্র্যান্ড “স্যামসাং মোবাইল “বিক্রয় ও বিপণনের কাজ শুরু করি। দৃঢ় মানসিকতা, কঠোর পরিশ্রম, পরিবারের দোয়া এবং সহকর্মীদের অনুপ্রেরণায় স্বল্প সময়ের মাঝে বাংলদেশে স্যামসাং মোবাইল অফিসিয়াল সেট বাজার জাত করণে ভূমিকা রাখি।

ঐ সময়ে স্বল্প সংখক মোবাইল ব্র্যান্ড বাংলদেশে কাজ করলেও দুর্দান্ত গতিতে সফল ভাবে দেশের সর্বত্র ডিলার নিয়োগ সহ সাধারণ মানুষের নিকট মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করেছি। ২০১১ইং সালের প্রথমে ঐ সময়ের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকরি আমাদের পার্শবর্তী দেশের ব্রান্ড মাইক্রোম্যাক্স মোবাইল ব্রান্ডের সাথে যুক্ত হয়ে দেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তির ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলতে নিরলস চেষ্টা করি। বিশ্বের অন্যতম মোবাইল ব্রান্ডের সাথে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতার কারণে দেশীয় শীর্ষ স্থানীয় ব্র্যান্ড গুলো যেমন -স্মার্ট মোবাইল , মাইসেল মোবাইল, স্মার্টা মোবাইলের মতন দেশিও ব্রান্ডের সাথেও অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করেছি। দীর্ঘ সময়ের এই অভিজ্ঞতার আলোকে আমি নিজেই একটি দেশীয় মোবাইল ব্রান্ডের স্বপ্ন দেখা শুরু করি। এরই প্রেক্ষিতেই ‘’মার্স মোবাইলের” যাত্রা শুরু।

দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এবং চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সহনীয় মূল্যে উচ্চ মানের মোবাইল হ্যান্ড সেট বাজার জাতকরণ এবং বিক্রয়ত্তোর সেবা প্রদান নিশ্চিত করণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আমাদের এই প্রয়াস সহায়ক ভুমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। করোনা মহামারীর সময় সারা বিশ্বের সবকিছু যখন অচল হয়ে পড়েছিল তখন দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার দেখিয়েছে নতুন পথ, জুগিয়েছে প্রেরণা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজেশনের পথে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সরকারের সর্বোচ্চ মহলে পৌঁছে গেছে মোবাইল ফোনের ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোয়া। মোবাইল ফোন গত দুই যুগে আমাদের জীবনের সাথে যেভাবে মিশে গেছে, পৃথিবীর আর কোন উদ্ভাবনী যন্ত্র এত দ্রুত বিকশিত হয়নি। মোবাইল ফোন কেবল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম নয় , নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় ব্যবসা বাণিজ্য , শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণার অন্যতম হাতিয়ার। মোবাইল ফোন উৎপাদন , বিক্রয় , সেল ফোন সার্ভিস ,মোবাইল ফিন্যালসিয়াল সার্ভিস সহ লক্ষ কোটির টাকার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে এই পণ্যটি। দেশে শুধু বাৎসরিক হ্যান্ড সেটের বিক্রয়ের পরিমান পনেরো হাজার কোটি টাকার উপর।

দেশে বর্তমানে ১৪টি কোম্পানি পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে মোবাইল ফোন উৎপাদনে। উৎপাদন সক্ষমতা বাৎসরিক চার কোটি ইউনিটেরও বেশি। কারখানা ও বিপণন সহ সংশিষ্ট কাজে কর্মসংস্থান এক লক্ষাধিকেরও অধিক। বর্তমানে নব্বই শতাংশের বেশি হ্যান্ডসেট যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেট। এই শিল্পে বিনিয়োগ করেছে দেশীয় শীর্ষ স্থানীয় নামি দামি অনেক ব্র্যান্ড। মোবাইল সেট আমদানিতে শুল্কারোপ, স্থানীয় উৎপাদনে কর অবকাশ সুবিধা ও ভ্যাট অব্যাহতির কারণে দেশে ম্যানুফেক্চারিংয়ের পাশাপাশি এসেম্বলিং কারখানা স্থাপন করেছে সবগুলো বড় ব্র্যান্ড।

No description available.

বর্তমানে অনলাইনে প্লাট ফর্মের মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। স্মার্ট ফোনের ব্যাবহারের প্রবৃদ্ধি ৪০শতাংশ। ফিচার ফোনের বাজার শেয়ার এখন প্রায় ৬০ শতাংশ। আন অফিসিয়াল বা নন চ্যানেলে মোবাইলের ৩০-৩৫ শতাংশ আসছে। দেশে মোবাইল ফোনের সংযোগ প্রায় ১৮ কোটি। দেশে প্রতি মাসে ২২ থেকে ২৩ লক্ষাধিক মোবাইল হ্যান্ড সেট বিক্রয় হয়। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের বিক্রয় বেড়ে অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৬০:৪০ । ”মেইড ইন বাংলাদেশ” ফোন বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশকে মোবাইল উৎপাদন কারী দেশ হিসাবে পরিচয় করিয়েছে। বাংলাদেশ-বিশ্বের দ্রুত প্রবিদ্ধিশীল অর্থনীতির দেশ। দ্রুত ডিজিলাইজেশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে ৫জি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশাকরা যায় মোবাইল ফোন হবে দেশের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প।

মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মিয়া,ডিরেক্টর ও সি ইও, মার্স টেকনোলজি লিঃ (MARS Mobile)

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়াল সরকার
ইসলাম মানবিকতা,উদারতা ও মহানুভবতার ধর্ম
চালের দাম বাড়ছে : সবজির দাম কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি
হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেকে
রমজান সংযম শেখায়,নামাজ শেখায় কল্যাণ
বাংলাদেশী নাবিকদের হত্যার হুমকির জলদস্যুদের

আরও খবর