সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট: রাজধানীর পল্লবী ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা ও নকল রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এ সময় জাল নোট তৈরির সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়। তারা হলো সেলিম (৪০), মনির (৪৫), মঈন (৪০), রমিজা বেগম (৪০), খাদেজা বেগম (৪০) ও শাহীনুর ইসলাম (১৫)। অভিযানে চার কোটি জাল টাকা ও ৪০ লাখ ভারতীয় রুপি ছাড়াও প্রায় ৩০ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল টাকা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল (কাগজ, কালি, জলছাপ দেওয়ার সামগ্রী) উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাজধানীর মিরপুর থানা এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব নকল টাকা, ভারতীয় রুপিসহ নকল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ তাদের আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা র্যাবকে জানিয়েছে, তারা (জাল টাকা তৈরির) সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এদের মধ্যে মঈন মো. মনিরকে জাল টাকা ছাপানোর সহযোগিতা করত এবং প্রিন্ট করা টাকা কাটিং করার পরিকল্পনা করেছিল এবং রমিজা বেগম সেলিমকে কাগজে আঠা লাগানোর কাজে সহায়তা করত এবং প্রয়োজনীয় ফুটফরমাশ খাটত। খাদিজা বেগম এবং শাহীনুর সাদা কাগজে নিরাপত্তা সুতার জলছাপ দেওয়ার কাজ করত। বসুন্ধরার ওই বাসায় মূলত জাল টাকার কাগজ প্রসেসিং করা হয়। এরপর জাল টাকায় ফাইনাল প্রসেসিং সুতা সংযুক্ত করা প্রিন্টিংসহ অন্যান্য কাজ পল্লবীতে সম্পন্ন করা হতো।
জিজ্ঞাসাবাদে তার আরও জানায়, এ বিপুল পরিমাণ জাল টাকা আসন্ন কোরবানি ঈদে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। করোনাকালীন এ সময়ে জাল টাকার এ ছড়াছড়ি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, একটি সংঘবদ্ধ জাল টাকার কারবারি চক্র জাল টাকা তৈরি ও বাজারে বিক্রি করে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে র্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছে। ওই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর দুটি স্থানে একসঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জাল টাকা একটি বিশাল সিন্ডিকেট দেশের অভ্যন্তরে কাজ করছে এবং এর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান পূর্বের ন্যায় চলমান রয়েছে।