সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট ঃ অনন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ঐহিহ্যবাহী ও প্রাচীন বিদ্যাপিঠ। ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি বালকদের বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। গত সোমবার ভর্তির প্রক্রিয়ায় অনলাইনে লটারিতে বর্ষা আক্তার নামে এক কন্যা শিশু বিদ্যালয়টিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
বালকদের বিদ্যালয়ে একজন বালিকা লটারীতে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই বর্ষা ছেলে নাকি মেয়ে এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। লটারিতে নাম উঠা বর্ষা আক্তার প্রথম শ্রেণিতে মর্নিং শিফটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকার ২৩ নম্বরে স্থান পেয়েছে বর্ষা আক্তার। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার উঠেছে তালিকায়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন বলেন, ‘বর্ষা আক্তার‘ এর নামটি আমাদেরও চোখে পড়েছে। আমরা ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পর জন্ম সনদ দেখে বলতে পারবো আসল সমস্যা কোন জায়গায়। তবে এটি মেয়ে নাকি মেয়ে এনিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই। নাম দেখে বর্ষা মেয়ে বলেই প্রতিয়মান হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের ধারনা যেহেতু একজন শিক্ষার্থী আবেদনে পাঁচটি স্কুল নির্বাচন করার বিধান রয়েছে হয়তোবা ওই মেয়ে ভুল করে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নামও নির্বাচন করেছে। এছাড়া কম্পিউটারে অনলাইনে প্রথমবারের মতো ভর্তি প্রক্রিয়ার ফরমের মধ্যে জেন্ডার এর ঘরে ভুল হতে পারে। ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের ভর্তি কমিটির মিটিং আছে। এসব বিষয় নিয়ে মিটিংয়ে আলোচনা হবে।
নাঈমুর রহমান ,সময় সংবাদ লাইভ।