সময় সংবাদ রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জশুনানির তারিখ আগামী ৮ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেনি। এজন্য সময়ের আবেদন করা হয়। পরে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান নতুন দিন ধার্য করেন।
আজ বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার চার্জশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি খালেদা জিয়াও। এদিন তার পক্ষে হাজিরা দেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন একই আদালত। এরপর গত ২ মার্চ দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল চার্জশুনানি করেন। শুনানিতে তিনি আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করে খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের পক্ষে চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন।
মামলার দুই আসামি বিচারকালীন মারা গেছেন। অপর আসামিরা হলেন- বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।