তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, আমাদের অর্থনীতিকে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তুলতে আগামী দশকে ছয় ট্রিলিয়ন থেকে ১০ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ করতে হবে। এখন পর্যন্ত সিভিএফের বেশির ভাগ দেশ হচ্ছে স্বল্পোন্নত, নিম্ন বা অগ্রগণ্য মধ্যম-আয়ের উন্নয়নশীল দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন কৌশল উদ্ভাবনে সহায়তায় তাদের তহবিল ও বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের সিইও প্যাট্রিক ভারকইজেনের যৌথভাবে লেখা একটি প্রবন্ধ ব্যাপকভাবে প্রচারিত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ প্রকাশ করেছে। ‘জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে বাঁচতে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর জন্য আরো অর্থের যোগান দেয়া গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক তাদের এ যৌথ প্রবন্ধে উন্নয়শীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে বাঁচাতে বার্ষিক তহবিলে উন্নত দেশগুলোর একশ’ বিলিয়ন ডলার প্রদানের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা লিখেছেন, ‘আমাদের জলবায়ু সঙ্কট হচ্ছে বৈশ্বিক। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশে সমভাবে এর প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। চারটি মহাদেশের ৪৮টি দেশের একটি গ্রুপ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে একেবারে অস্তিত্বের হুমকি।
এ প্রবন্ধে তারা জলবায়ু সঙ্কট থেকে নিজেদের বাঁচাতে বিশ্বের বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘জলবায়ুর উন্নতি ঘটাতে সিভিএফ দেশগুলোর জন্য বিপুল অর্থের যোগান দেয়া হলে জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আসতে তারা পদক্ষেপ গ্রহণে সমর্থ হবে। আর তা বর্তমানে মহাবিপদের মুখে থাকা ৪৮টি দেশের জন্য ভালো হবে।’
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলার ব্যাপারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্ববাদের জলবায়ু হুমকি মোকাবেলায় আমাদেরকে একই ধরনের ভূমিকা অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। আসন্ন বিপদের মুখোমুখী হলে কী করা সম্ভব তা কোভিড-১৯ মোকাবেলার ক্ষেত্রে দেখিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার।’
জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্দশার ব্যাপারে তারা বলেন, ভানুয়াতু, মালদ্বীপ ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের মতো ছোট দ্বীপ দেশগুলো সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।