গেল বছরে সুস্থ পৃথিবীতে হঠাৎই আগমন হলো করোনার। সবকিছু আর আগের নিয়মে চলে না। লাতিন ফুটবলপাড়ায় ভক্তদের হতাশার বাণী শোনায় কনমেবল, ইউরোর সাথে সাথে স্থগিত হয় কোপা আমেরিকাও। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। শুরু হয় ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলো। স্থগিত হওয়া ইউরোর পাশাপাশি কোপা আমেরিকা নিয়ে আসা হয় এই বছরের জুনে। ১১ জুন ইউরো শুরু, দু’দিন পরেই কোপা শুরুর তারিখ ঘোষণা।
প্রথমে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার যৌথ আয়োজনে হওয়ার কথা থাকলেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাদ পড়ে কলম্বিয়া। টুর্নামেন্টের ১৫টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল দেশটিতে। কনমেবল তাদের সরিয়ে দিলে সেসব ম্যাচ আয়োজনে আগ্রহ দেখাল চিলি আর প্যারাগুয়ে। এই তালিকায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রও। তবে একক আয়োজক হওয়ার ইচ্ছা মনের মধ্যে পুষে রাখেনি আর্জেন্টিনা।
কিন্তু, আবারো সেই পুরনো শত্রুর হানা। গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনায় গড়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ কোভিড পজিটিভ। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে আর্জেন্টিনা থেকে কোপা সরিয়েই দিল লাতিন ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
আর্জেন্টিনায় কোপা না হওয়ার বিষয়ে কনমেবল বলছে, বর্তমান পরিস্থিতির কথা। তবে সেই পরিস্থিতি কি, সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, আর্জেন্টিনায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত তাদের।
খেলা শুরুর আর মাত্র ১৩ দিন, এর মধ্যে এমন সিদ্ধান্তে বেড়ছিলো শঙ্কা। এতো কম সময়ের মধ্যে কোপা আমেরিকার নতুন আয়োজক কনমেবল খুঁজে পাবে তো? আগ্রহী দেশগুলোর প্রস্তাব খতিয়ে দেখে দ্রুতই নিয়ে ফেলেছে সিদ্ধান্ত। জানিয়ে দিয়েছে একই সময়ে ব্রাজিলে হবে এবারের আসর।
সময় সংবাদ লাইভ।