সময় সংবাদ রিপোর্ট : ইউক্রেনের মিথ্যাচারের প্রমাণসহ জবাব দিল রাশিয়া। সম্প্রতি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ১১৩টি গির্জা ধ্বংসের অভিযোগ আনেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে একটি ড্রোনের ভিডিও প্রকাশ করেছে মস্কো। এতে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের গির্জাগুলো অক্ষত দেখা যায়।মঙ্গলবার (৭ জুন) ইউক্রেনের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের একটি ভিডিও প্রকাশ করে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ড্রোন ক্যামেরায় ধারণ করা ওই ভিডিওতে শহরের বিভিন্ন গির্জা দেখানো হয়। এতে গত কয়েক দিনের তীব্র সংঘর্ষের মধ্যেও বিভিন্ন গির্জা অক্ষত রয়েছে বলে জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের। সম্প্রতি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলের ১১৩টি গির্জা গুঁড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি দাবি করেন, গুঁড়িয়ে দেয়া গির্জাগুলোর মধ্যে অনেক প্রাচীন গির্জাও রয়েছে। এসব গির্জা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও টিকে ছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেই এবার ভিডিও প্রকাশ করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ভিডিওতে ইউক্রেনের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের গির্জাগুলো অক্ষত দেখা যায়। এমনকি সেখানকার আবাসিক ভবনগুলোরও কোনো ক্ষতি হয়নি। এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কর বলেন, ইউক্রেনের কোনো ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসের সঙ্গে রুশ বাহিনী জড়িত নয়। সেখানকার সব গির্জা অক্ষত রয়েছে। আমরা ভিডিওর মাধ্যমে তার প্রমাণ দিয়েছি। আমাদের যোদ্ধারা কোনো পবিত্র স্থানে হামলা চালায়নি। ইগর আরও বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জাতিসংঘে রাশিয়ার ইউনেসকোর সদস্যপদ বাতিলের জন্য মনগড়া এ অভিযোগ করেছেন তিনি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, কেবল ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে মস্কো। রুশ সেনাদের আটকাতে উল্টো ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নিজেদের সেতু ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে চলেছে। যার দায় রুশ বাহিনীর ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চলছে।