সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে ননদ-ভাবিকে ধর্ষণের ঘটনা ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসা করতে চেয়েছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এলাকাবাসী গত সোমবার এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। এদিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূ ও মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক শিশুকে ধর্ষণের ঘনায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সময় সংবাদ লাইভ প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঈশ্বরদী (পাবনা) : ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর পূর্বপাড়ায় একই পরিবারের এক গৃহবধূ ও আট বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটি সম্পর্কে ওই নারীর ননদ। জানা যায়, এলাকার এক ভিক্ষুকের পুত্রবধূ ও তার ননদ শিশুটিকে গত ৩০ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে একই গ্রামের জহুরুল ধর্ষণ করে। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ ছিলেন না। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, জহুরুল এর আগেও গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এর বিচার দাবিতে গত সোমবার সন্ধ্যার পূর্বে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাসির উদ্দীন জানান, এলাকায় গিয়ে অভিযুক্ত জহুরুলকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে ধর্ষক ও দালালদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ : ঘিওর উপজেলায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই কিশোর (১৫) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মেরামত কারখানায় কাজ করে। গত সোমবার (২ নভেম্বর) বিকালে প্রতিবেশী শিশুকে নিজ বাড়িতে ঢেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই কিশোর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঘিওর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম জানান, মঙ্গলবার কিশোরকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে গাজীপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : বেগমগঞ্জে আপন মামিকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ভাগ্নেকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত নাজমুল আলম সোহান সোনাইমুড়ী উপজেলার কাইয়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির প্রবাসী মো. মোরশেদ আলমের ছেলে এবং চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।