সময় সংবাদ রিপোর্টঃ রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আগামীকাল শনবিার বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এ অনুমতি দেওয়া হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে খেলা চলায় সম্ভব না। পুলিশের কাছে তারপর আমরা গোলাপবাগ মাঠের কথা বলেছিলাম, পুলিশ লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করতে বলেছিল, আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তারা অনুমতি দিয়েছে। পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।’
এর আগে আজ দুপুরে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছিলেন, বিএনপি গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করতে চায়। তিনি বলেন, ‘কমলাপুর কিংবা মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ চেয়েছিল বিএনপি। পরবর্তীকালে আবার রাতে গোলাপবাগ মাঠ চেয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার তখন আরও জানান, মাঠ সমাবেশ করার জন্য উপযুক্ত, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু ইস্যু আছে। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা করে অনুমতি দেওয়া হবে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধিদল।
বিভিন্ন দাবিতে দলের সব সাংগঠনিক বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ঢাকা ব্যতীত সারাদেশে এ সমাবেশ করেছে তারা। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর এ নিয়ে শুরু হয় জটিলতা।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে জানায়। এরই মধ্যে গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন, বহু আহত হন।
ওই দিন বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৫০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করে বিএনপি।
ভেন্যু জটিলতায় সরকারের পক্ষ থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ ও পূর্বাচলের বাণিজ্যমেলার মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেয় ডিএমপি। অন্যদিকে, শান্তিনগর ও আরামবাগ মাঠে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।
গতকাল ডিএমপির পক্ষ থেকে মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি চায় কমলাপুর স্টেডিয়াম। রাতে বিএনপি নেতারা মাঠ দুটি পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে মধ্যরাতে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে রাজধানীর শাহজাহাপুরেরর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাছাকাছি সময়ে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও গ্রেপ্তার করা হয়।