সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃসুনামগঞ্জে দ্বিতীয় স্বামীকে রেখেই আরেকজনকে ‘বিয়ে’ করায় এক নারী খুন হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। দ্বিতীয় স্বামীই তাকে কুপিয়ে খুন করেছেন, পরে অবশ্য র্যাব তাকে আটক করেছে।
আজ রোববার দুপুরে পৌর শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতের নাম রিপা বেগম (৩০)। অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ মিল্টন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনপুর গ্রামের লেম্বু মিয়া ছেলে। রিপার বাবার বাড়িও একই গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মিল্টনকে বিয়ে করে সংসার করছিলেন রিপা। দিন পনেরো আগে মিল্টনের সঙ্গে ঝগড়া করে মঈনপুর গ্রাম থেকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকায় গিয়ে বাসা ভাড়া নেন রিপা। এরপর মঙ্গলকাটা গ্রামের গুলজার আহমদ নামে এক যুবককে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করছিলেন। এ খবর পেয়ে আজ দুপুরে মিল্টন ওই বাসায় যান। এসব বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দা দিয়ে কোপান রিপাকে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তিনি পালিয়ে যান। পরে বাসা মালিক ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে ঘটনা জানান। পুলিশ গিয়ে রিপাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রিপার মেয়ে ফাহমিদা জাহান বলেন, ‘বাসায় এসে আমার বাবা দরজা বন্ধ করে মায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমি পাশের ঘরে টিভি দেখছিলাম। পরে মায়ের চিৎকার শুনে খালাসহ আমরা সবাই ছুটে যাই। আমরা গেলে বাবা দরজা খুলে পালিয়ে যান। তখন মা মাটিতে পড়েছিল।’
বাসা মালিক আরিফুর রহমান বলেন, ‘রিপা বেগম ১৫ দিন আগে বাসা ভাড়া নেন। তখন বলেছিলেন ওনার স্বামী গুলজার আহমদ ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকবেন। সেই অনুযায়ী আমরা তাদের বাসা ভাড়া দেই। কিন্তু এ ঘটনা জানতাম না।’
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জয়নাল আবেদীন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হবে।
সময় সংবাদ লাইভ।