Header Border

ঢাকা, সোমবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল) ২৯.৯৬°সে

‘দেশ অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে না’

সময় সংবাদ রিপোর্ট:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শুধু বর্তমানে যারা আছেন তারাই নন, তরুণ তথা আগামী প্রজন্ম যাতে উন্নত জীবন পায়, সেই পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে না, ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের শ্রম দিয়ে, মেধা দিয়ে এ দেশকে গড়ে তুলবে, আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে জাতির পিতা এটাই সব সময় চাইতেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলতেন- ‘ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না।’ ভিক্ষুক জাতি হিসেবে নয়, আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে চলেছি।’

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। বাংলাদেশ তখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন ছিল। সাক্ষরতার হার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে তৈরি করেছিলাম।

দেশের জন্য সেটা স্বর্ণযুগ ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কিন্তু ২০০১ সালে বেশি ভোট পেয়েও কোনো একটা চক্রান্তের কারণে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। সাতটি বছর মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে ফের জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসে মানুষের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি। জাতির পিতার নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয় তিনি দিয়ে গেছেন। জাতির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের জীবনমান উন্নত করা, তাদের সুন্দর জীবন উপহার দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

উন্নয়ন মেলা-২০১৮ তরুণদের প্রতি উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব আয়োজন তারুণ্যের জন্য। যারা দেশকে কিছু উন্নতি দিতে পারবে, নিজের ভাগ্যও গড়তে পারবে। তাদের পরিবারগুলোও সুন্দরভাবে বাঁচবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের আজকের শিশু, আগামী দিনের তরুণ; তারাই এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন কোনো একটি জায়গায় নয়, সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছি। আশা করি, এই উন্নয়ন মেলার মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষ তাদের জন্য আমরা কী উন্নয়ন করলাম এবং সে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে তারা কিভাবে নিজের ভাগ্যকে গড়তে পারবে, সেটা দেখার সুযোগ তারা পাবে এবং সেই সুযোগটা তারা গ্রহণ করবে। সেই চিন্তা থেকেই আজকের এই উন্নয়ন মেলা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হলো চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে চলবে তিন দিনের এ মেলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরুতে উন্নয়ন মেলার থিম সং’টি শোনানো হয়। এছাড়াও সরকারের গৃহীত উন্নয়ন পদক্ষেপের একটি ভিডিও চিত্রও দেখানো হয়।

এবারের উন্নয়ন মেলার প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এসময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলার উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮০ হাজার ছাড়াতে পারে
আওয়ামী লীগ সরকার ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ: মির্জা ফখরুল
তৈরি পোশাক রফতানির নামে অর্থ পাচারের আসল চিত্র কী?
ড. ইউনূসের বিচার শুরু
একনেকে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজসহ ১৯ প্রকল্প অনুমোদন
অটল আ.লীগ, সংবিধানের বাইরে যাবে না

আরও খবর