সময় সংবাদ রিপোর্ট : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সময় বাড়ার সাথে সাথেই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করলেও এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের আরো ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। তবে ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাইন উদ্দিন।
সবশেষ এ ঘটনায় ৪০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আটজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।
চমেক হাসপাতালে ভিড় করেছেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের স্বজনরা। কেই আসছেন লাশের খোঁজে আবার কেইবা তার প্রিয় মানুষটি এখনো জীবিত আছেন এই আশা নিয়ে। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠেছে চারপাশ।
গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন নেভানোর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণ যেভাবে হচ্ছিল তাতে ভেতরে থাকা সম্ভব ছিল না। আগুন কতক্ষণে নেভাতে পারব, এ বিষয়ে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
এদিকে কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কেমিক্যাল কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।