সময় সংবাদ রিপোর্ট : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন দেশের ঐতিহ্যবাহি ও প্রাচীন রেল ষ্টেশন।বৃটিশ আমলে নির্মিত এই দীর্ঘতম প্রাচীন রেল ষ্টেশনটি নানা দিক দিয়ে ঐতিহ্যপূর্ন ও গুরত্বপূর্ণ।ব্রিটিশ-ভারতের রেলে সেই সময় যে উন্নয়ন হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক রেলস্টেশন নস্ট হয়ে গেছে, রেল ব্রিজ, রেল লাইন তুলে ফেলেছে, রেলের অনেক শ্রমিক-কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুণরায় সেই রেল চালু করেছেন। ব্রিটিশ আমলে যেটুকু উন্নয়ন আর বঙ্গবন্ধু যেটুকু সংস্কার করেছেন সেটুকুই রয়েছে।
রেলস্টেশনটিকে আধুনিকায়ন করার জন্য বর্তমান সরকার বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করলেও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে টিকিট কাউন্টারে অনিয়ম এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। টিকিটের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও টিকিট পাওয়া যায়না। অথচ অদৃশ্য মহলের একটা ফোন কল আসলেই মিলে পর্যাপ্ত টিকিট।আবার গোপনে বাড়তি টাকা উতকোচ প্রদান করতে পারলেও মিলে পর্যাপ্ত টিকিট। কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের বলা হয় টিকিট অবিকৃত নেই সব বুকড হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক (নওগা কেডি সরকারী উঃবিঃ) মোঃ মোবারক আলী শেখের সাথে,তিনি সময় সংবাদ লাইভকে বলেন সান্তাহার রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার দাড়িয়েছি সকাল ৬.২২ টায় ১নং কাউন্টারে ।আমি ১ম ব্যক্তি আশা ছিল ২টা টিকেট পাব, এসি স্নিগ্ধা তারিখ ১৫/০৯/২০২২ ট্রেন কুড়িগ্রাম ৮.০০ টায় কাউন্টার খোলা হলো, টিকেট যিনি দিচ্ছেন উনি একজন মহিলা বললাম মা আমাকে এসি ২টা টিকেট দেন উনার উপরের বস একজন যিনি টিকেট কাউন্টারের হেড তার নির্দেশ মতাবেক আমাকে টিকেট না দিয়ে বসের জন্য এসি স্নিগ্ধার সব টিকেট তার বসকে দিয়ে দিলেন।আমি কয়েক বার তাদের কাছে অনুরোধ করেও ব্যর্থ হয়েছি ।আমার বয়স ৬৫ বছর । আমি একজন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ।বসের কথা রানীনগরে এসি ল্যান্ড স্যারের সব টিকেট লাগবে তাই তিনি আমাকে ২টা টিকেট ১ টা দিতে পারবেনা ।আমি অনেক দুঃখ পেয়েছি কষ্ট পেয়েছি। বুঝাতে পারছিনা নিজের মনকে ।মন খারাপ করেই কাউন্টার থেকে বেড়িয়ে বাসায় আসলাম ।