সময় সংবাদ রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুজনকে আসামি করে কসবা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। শুক্রবার এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম বাদশা মিয়া।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন আগে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বাদশা মিয়া ও আলমগীর মিয়া নামে দুই ব্যক্তি। সম্প্রতি এক প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। বুধবার দুপুরে প্রবাসীর ওই স্ত্রী তার বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার সময় সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায় বাদশা মিয়া ও আলমগীর মিয়া। পরে সিএনজিতে উঠিয়ে কুটি-চৌমুহনীতে অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে তাকে আবাসিক হোটেলে ফেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বাদশা মিয়া তার দাম্পত্য জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে তাকে অত্যাচার ও নির্যাতন করছে। তার সংসার ভাঙারও উপক্রম হয়েছে।ভুক্তভোগীর স্বামীও অপরাধীদের বিচার দাবি করেছেন। এদিকে, গ্রেপ্তার বাদশা মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী নিজেই বাদী হয়ে বাদশা মিয়া ও আলমগীর মিয়াকে অভিযুক্ত করে গত ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শুক্রবার বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত না করে কিভাবে কি হয়েছে সেটা বলা যাচ্ছে না। মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাছাড়াও সেই আবাসিক হোটেলেও অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে কাউকেই পাওয়া যায়নি। হোটেলের রেজিষ্টার জব্দ করা হয়েছে।