সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃসারাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু উদ্বেগজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউনে চলছে। আজ শুক্রবার কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ভোর থেকেই রাজধানীতে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সড়কে লোকজনের উপস্থিতি একেবারে নেই বললেই চলে।
সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি। এছাড়া একই কারণে রাজধানীর বিভন্ন সড়ক ও অলিগলিতে সকাল থেকে যানবাহন খুব একটা চোখে পড়েনি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনও তেমন একটা দেখা যায়নি। বিভিন্ন সড়কে অল্প কিছু রিকশা, মাইক্রোবাস, ট্রাক,কার্ভাড ভ্যান ও পিকআপ চলাচল করতে দেখা গেছে।
দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় কিছু সংখ্যক গাড়ি দেখা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্দেশ্য যাচাই করছে। অকারণে কেউ বাহিরে বের হলে তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নত বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় কিছু সাধারণ লোকের কাছে জানতে চাইলে লকডাউন কেমন চলছে? জানতে চাওয়ায়। তারা বলেন লকডাউন এর অবস্থা বুঝতে আরো দুই একদিন সময় লাগবে। লকডাউন ও বৃষ্টির ভিসা আসছে তো সেই কখন কারণে সড়কে যানবাহনের অপ্রতুলতা রয়েছে। যে রিকশাগুলো চলছে, তারা বেশি ভাড়া নিচ্ছে।
তবে যারা জরুরি প্রয়োজনে বাহিরের আসতেছে গাড়ি ও যানবাহন না থাকায় দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের ।
যদিও কিছু সংখ্যক রিক্সা পাওয়া যায় তা দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে চলতে হয় ।
এবারের লকডাউনকে সফল করতে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। প্রজ্ঞাপন অনুসারে, কঠোর লকডাউন চলাকালে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিস খোলা থাকবে।
এছাড়া বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ফার্মেসিসহ জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে যাতায়াত করতে পারবে। কোনো বিধি নিষেধ ছাড়া যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারবেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
পাশাপাশি শিল্প-কারখানা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
খাবারের দোকান, হোটেল রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি করতে পারবে। তবে কেউ হোটেলের মধ্যে বসে খেতে পারবে না। চালু থাকবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল।
গতকাল সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথমদিনেও রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি কম ছিল। বিভিন্ন সড়কে তৎপর ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে ঘোরাঘুরি করার অপরাধে রাজধানীতে ৪৯৭ জনকে আটকও করা হয়। এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৮ জনকে আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে আটজনকে। বাকিদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মোঃনূর আমিন আকন, স্টাফ রির্পোটার, সময় সংবাদ লাইভ।