সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট :বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যেই অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে অনেক দেশই লকডাউন শিথিল করেছে। ফলে ঝুঁকি সত্ত্বেও অনেক দেশেই খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট, রেস্টুরেন্টসহ কলকারখানা। এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল হয়েছে করোনায় বিপর্যস্ত ইতালি, স্পেন, গ্রিস, ইরানসহ অনেক দেশে। একই পথে হাঁটছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স। মৃত্যু ও আক্রান্তে শীর্ষে থেকেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন শিথিলের কথা ভাবছে তার সরকার। আবার আর্থিক ক্ষতি বিবেচনায় বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেও
শিথিল হয়েছে লকডাউন। যদিও এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না শরীরিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরামর্শ। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আবারও সব দেশকে সাবধান করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গত বুধবার জেনেভা থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও-প্রধান ডা. টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘লকডাউন তুলতে হলে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি ধারাবাহিকতা না মেনে এবং সর্বোচ্চ সতর্ক না হয়ে কোনো দেশ লকডাউন তোলে, তা হলে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। কারণ লকডাউন তুললে মহামারী আরও ভয়াবহ রূপে ফিরে আসতে পারে। আমরা এখনো করোনা মহামারীর প্রথম ধাপে রয়েছি।’
ডা. গেব্রিয়েসুস তার বক্তব্যে লকডাউন শিথিল করতে হলে সব দেশকে আবশ্যিকভাবে ৬ শর্ত পূরণের আহ্বান জানান। এগুলো হলো- সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা। প্রতিটি রোগীকে শনাক্ত, পরীক্ষা, আইসোলেশন, চিকিৎসা এবং তাদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে শনাক্ত করার সক্ষমতা থাকা। হাসপাতাল, নার্সিংহোম, সেবা কেন্দ্রগুলোর মতো নাজুক স্থানগুলোয় ঝুঁকি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও অন্যান্য দরকারি স্থানে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত। হাসপাতালগুলোর নতুন রোগী সামলানোর সক্ষমতা অর্জন এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে পুরোপুরি সচেতন, সতর্ক ও নতুন জীবনযাপনের ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ করা।
ডব্লিউএইচও-প্রধান এমন সময় সব দেশকে সাবধান করলেন যখন গতকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ও আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই বাড়বাড়ন্তের কথা স্মরণ করিয়ে ডা. গেব্রিয়েসুস বলেন, এগুলো কেবল সংখ্যা নয়। এই তালিকায় কারও মা, বাবা, ভাই, বোন বা সন্তানও রয়েছেন। খবর রয়টার্সের।