Header Border

ঢাকা, বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল) ২১.৮১°সে
শিরোনাম
চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবজি প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে সেনা প্রধানের সাক্ষাৎ সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় ! সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় ! অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও সময় দিতে চায় বিশ্ব সম্প্রদায় ! ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বান এরদোগানের আজ ঢাকায় সমাবেশ,৯ মহানগরে শোভাযাত্রা;নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান মোজাম্মেল-শাহরিয়ার-শ্যামল ৭ দিনের রিমান্ডে ডিসি নিয়োগ নিয়ে আজও বিক্ষোভ সচিবালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাছে ৯টি দফা দাবি জানিয়েছে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর ট্রাস্ট’।

“শেখ ফজলে নূর তাপস” আতঙ্কে ডিএসসিসির দুর্নীতিবাজরা !

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কড়া অবস্থানের কারণে যেকোনো সময় চাকরি যাওয়ার ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েছেন তারা। এ কারণে অনেকে বর্তমানে হিসাব করে পা ফেলছেন। এতে নগরভবনের নানা কাজে দুর্নীতির মাত্রা কমে গেছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দীর্ঘ দিন থেকেই দর্নীতি, অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। রাজস্ব, প্রকৌশল, পরিবহন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ভাণ্ডার ও ক্রয় বিভাগসহ প্রায় সব বিভাগেই কমবেশি অনিয়ম চলে আসছে। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, দোকান বরাদ্দ নিয়ে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। প্রকৌশল বিভাগে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করা হয়েছে।

মেগা প্রকল্পের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের সাথে জড়িত ঠিকাদাররা জানিয়েছেন, যেকোনো কাজ পেতেই আগেই একটি নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ দিতে হতো কমিশন বাবদ। এরপর কাজ পাওয়া যেত। এ কাজও একটি নির্দিষ্ট গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করত। এরপর বিল দিতেও কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ দিতে হত। পরিবহন বিভাগে অনিয়মের পাহাড়। মূল কাজের সময় থেকে সেখানে গাড়ি চালকরা ওভারটাইম বেশি নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া গাড়ি মেরামত, যন্ত্রাংশ কেনাসহ নানাভাবে অর্থ লোপাট করা হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে রাস্তায় ঝাড়– দেয়া কর্মীদের কাছ থেকেও ঘুষ খায় তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা সিআই পদধারীরা। অনেক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজে ফাঁকি দেন। তাদের কাজের বৈধতা দিতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নেন সিআইরা।

গত ১৬ মে ডিএসসিসি মেয়রের দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেয়ার পরদিনই তিনি প্রভাবশালী দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন। ওই দুই কর্মকর্তা হলেন- অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো: আসাদুজ্জামান ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে থাকা ইউসুফ আলী সরদার। এর তিন দিন পর রাজস্ব বিভাগের আরেক কর্মকর্তা আতাহার আলী খানকেও চাকরিচ্যুত করেন মেয়র। গত ১২ জুলাই রাজস্ব বিভাগের লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার ইকবাল আহমেদকেও চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।

চাকরি থেকে অপসারিত এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, তহবিল তসরুপ, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও প্রতারণাসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে সম্প্রতি সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া ডিএসসিসির বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের বদলিও করেছেন মেয়র। চাকরির বয়স পেরিয়ে গেলেও অনেকে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। তাদেরও খুঁজে বের করে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। গতকাল ৫৯ বছর পেরিয়ে যাওয়া এমন ১০ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর পরই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে রাজস্ব বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন।

ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সময় সংবাদ লাইভকে জানান, নগরভবনে অনিয়ম-দুর্নীতি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছিল; কিন্তু বর্তমান মেয়র কড়া অবস্থান নেয়ায় এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যারা দুর্নীতিবাজ তারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। ডিএসসিসিতে এখনো অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন যারা বিগত সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিশেষ করে প্রকৌশল, রাজস্ব এবং পরিবহন বিভাগের শীর্ষ পদে থাকা কয়েকজন দুর্নীতিবাজ এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সময়ের দাবি।

ডিএসসিসির এক কর্মচারী সময় সংবাদ লাইভকে বলেন, অনেকে ক্লিনার পদে চাকরি পেয়েছেন, অথচ তিনি এখন বড় পদে কাজ করেন। অনেকে দাফতরিক কাজ করেন, গাড়ি চালক, কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্বেও রয়েছেন। এটাও একটা অনিয়ম। এ ব্যাপারেও মেয়রের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ডিএসসিসির রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে গত মঙ্গলবার মতবিনিময় করেন মেয়র ফজলে নূর তাপস। এ সময় কর্মকতা-কর্মচারীদের দুর্নীতির ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে মেয়র বলেন, দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন অব্যাহত থাকবে। যারা ভালো কাজ করবেন, যারা আন্তরিকতা-নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করব। আর যারা দুর্নীতিগ্রস্ত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো রকম ছাড় দেয়ার প্রশ্ন তো নেই, কোনো অলসতাও বরদাশত করা হবে না।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবজি
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে সেনা প্রধানের সাক্ষাৎ
সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় !
সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় !
অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও সময় দিতে চায় বিশ্ব সম্প্রদায় !
ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বান এরদোগানের

আরও খবর