সময় সংবাদ রিপোর্ট : সাগরে চলছে নিম্নচাপ; কিন্তু সে হিসেবে বৃষ্টির দেখা নেই দেশে। গত ৪০ বছরের মধ্যে এবার জুলাইতে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, এ মাসেও স্বাভাবিক মাত্রায় বর্ষণের সম্ভাবনা কম। এতে করে কৃষককে নির্ভর করতে হচ্ছে সেচের ওপর। এতে বাড়ছে খরচ। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।যদিও রোববার (১৪ আগস্ট) থেকে সাগরে নিম্নচাপ চলছে। এর আগে গত বুধবার (১০ আগস্ট) ও বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ছিল আরও একটি লঘু চাপ। কিন্তু প্রকৃতি যেন কোনো নিয়মই মানছে না! বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাই মাসে। এরপর বেশি বৃষ্টিপাতের মাস হলো আগস্ট। কিন্তু এবারের বর্ষা যেন বর্ষণহীন।গত ৪০ বছরের মধ্যে এ বছরই সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে জুলাই মাসে। সেটিও প্রায় ৫৭ শতাংশ কম।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগস্টেও সে ধারা অব্যাহত থাকার আভাস দিচ্ছে প্রকৃতি।আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক সময় সংবাদ লাইভকে বলেন, এ বছর জুলাই মাসে স্বাভাবিক যে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা, তার চেয়ে ৫৭ শতাংশ কম হয়েছে। গত প্রায় ৪০ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে কম। এছাড়া জুলাইয়ের পর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় আগস্টে। কিন্তু এক মাসের যে পূর্বাভাস রয়েছে, তাতে দেখা যায় এ মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধরিত্রী দিনকে দিন উত্তপ্ত হচ্ছে। বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা; গলছে বরফ। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের খামখেয়ালি আচরণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো।জলবায়ু বিশ্লেষক ড. আতিক রহমান সময় সংবাদ লাইভকে বলেন, এই যে খরাটা হচ্ছে, এটার জন্য বাংলাদেশ দায়ী না, কৃষকও দায়ী না। এটার জন্য আন্তর্জাতিক পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু দায়ী। আর এটা আসছে পাশ্চাত্যের যে দেশগুলো অতিমাত্রায় জ্বালানি ব্যবহার করছে, তাদের কাছ থেকে।আর তাই গত মাসের মতো এ মাসেও চলতে পারে তাপদাহ।