Header Border

ঢাকা, রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩৪.৯৬°সে

এক বছরে পণ্য আমদানি কমেছে ৫৮ হাজার ২২৫ কোটি টাকা

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে মোট আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় এই পরিমাণ ৫৮ হাজার ২২৫ কোটি টাকা কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি সংক্রান্ত হিসাব থেকে এই তথ্য জানা যায়। অপর এক তথ্যে জানা যায়, ইপিজেড ও বেসরকারি আমদানিকারকদের সর্বমোট অর্থ পরিশোধের পরিমাণ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৫ লাখ ২৮ হাজার ৪২২ কোটি টাকা। পরের বছর এর মোট পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৬ কোটি ৫০ হাজার টাকা।

বিদেশ থেকে বাংলাদেশের ইপিজেডগুলোর জন্য পণ্য আমদানি কমে ৫ হাজার ২শ’ কোটি টাকা মূল্যের। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইপিজেডে মোট আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য ছিল ৩০ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।

দেশে পূর্ববর্তী অর্থবছরের চেয়ে পরবর্তী অর্থবছরে ৫৮ হাজার ২২৫ কোটি টাকার পণ্য আমদানি কমেছে। বলা যেতে পারে, এই পরিমাণ অর্থের সাশ্রয় হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি বাংলাদেশে তাদের পন্য রফতানিতে এগিয়ে আছে। তবে পিছিয়ে রয়েছে চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স, পাকিস্তান, তুরস্ক,  জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মরক্কো, নেদারল্যান্ড, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, সুইডেন, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান প্রভৃতি দেশ।

উল্লিখিত সময়কালে বাংলাদেশে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী দেশগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, ভিয়েৎনাম, মায়ানমার প্রভৃতি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১৪ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ২৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সৌদি আরবের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৮ হাজার ৩৭৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। কাতারের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৮ হাজার ৮৩৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৩২৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। মালয়েশিয়ার পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১২ হাজার ৫৭২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ১৬৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। রাশিয়ার পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৫ হাজার ৪৮৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। ভিয়েৎনামের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৪ হাজার ৫৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭০৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। মায়ানমারের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৭৬৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৫ হাজার ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫০৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আর্জেন্টিনার পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৪ হাজার ৭৮৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৬৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এছাড়াও পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া দেশের মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ওমান প্রভৃতি।
বাংলাদেশে পণ্য রফতানি হ্রাস পাওয়া দেশগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক প্রভৃতি। এর মধ্যে চীনের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৯৭ হাজার ৪৭০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ভারতের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৬৪ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ১১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্যের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৪ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জার্মানির পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৯ হাজার ২২০ কোটি ৫ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৭ হাজার ২৯১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ইটালির পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৪ হাজার ৯২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৯৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ফ্রান্সের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ২ হাজার ৭২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। পাকিস্তানের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৪ হাজার ৭৮৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৬১১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩০৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ২৬ হাজার ১৪৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৫৪৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আরব আমিরাতের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১০ হাজার ২৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ১০৪ কোটি টাকা। দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১১ হাজার ৪৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। তুরস্কের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ২ হাজার ৫৩৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১৬ হাজার ৩০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। জাপানের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১৫ হাজার ৫১৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৫৯৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। কুয়েতের পূর্ববর্তী অর্থবছরে প্রেরিত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ৭ হাজার ২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। পরের বছরে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৯৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়াও পণ্য আমদানি কমে যাওয়া দেশের মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপ, মালি, মরক্কো, নেদারল্যান্ড, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, সুইডেন, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান প্রভৃতি।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা
আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী
তাপদাহে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ আরও বাড়াল আবহাওয়া অফিস
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়াল সরকার

আরও খবর