Header Border

ঢাকা, বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩০.৯৬°সে

করোনায় প্রথম মৃত্যুর এক বছর, অনেক কিছুই অজানা এখনো

 সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ ঠিক এক বছর আগে ১১ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণে প্রথম মৃত্যু হয়েছিল চীনের উহানে। মৃত ৬১ বছর বয়সি বৃদ্ধ উহানের মাংসের বাজারে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এই মাংসের বাজারই ভাইরাসের উৎস বলে শোনা গিয়েছিল এক সময়ে। পরে অবশ্য অন্য তত্ত্ব উঠে আসে। চীন ক্রমাগত দাবি করে, চীনে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়লেও দেশটি নভেল করোনাভাইরাসের উৎস নয়। তা হলে উৎস কোথায়! এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনো অজানা। আদৌ কোনো দিন জানা যাবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।

এই ভয়াবহ মহামারির অনেক কিছুই এখনো অজানা। উহানে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর জন্য বারবার চীনের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তাদের তদন্তকারী দলকে দেশে ঢুকতে দিতে নারাজ চীন। সম্প্রতি দলটির চীনে যাওয়া প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চীন ফের জানায়, তারা তৈরি নয়। অবশ্য ওই বিশেষজ্ঞ দল চীন সফর করলেও খুব বেশি প্রমাণ পাবে বলে আশাবাদী নন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এই সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণই নষ্ট হয়ে গেছে, নতুবা নষ্ট করা হয়েছে। এর সপক্ষে যুক্তিও দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মহামারির প্রথম দিকে যারাই সতর্ক করার চেষ্টা করেছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু ভাইরাসের উৎস নয়, ভাইরাসের চরিত্র নিয়েও সন্দিহান বিশেষজ্ঞেরা।

মূল প্রশ্ন, ভাইরাসটি কীভাবে প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের দেহে ছড়াল? বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০১৯ সালের শেষ দিকে উহানের হুয়ানান সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। ওই বাজারে বন্য প্রাণী বিক্রি করা হতো। অজ্ঞাত প্রজাতির বাদুড় থেকে ভাইরাসটি কোনোভাবে মানবদেহে এসেছে বলে ধারণা তাদের। কিন্তু পরে কিছু ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও উঠে আসে। আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, উহানের গবেষণাগার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। চীনের কর্তৃপক্ষ প্রথমে বলেছিল, উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। কিন্তু দেশটির প্রকাশিত গত বছরের জানুয়ারি মাসের তথ্য ভিন্ন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছে। এতে দেখা গেছে, ওই বাজারের সঙ্গে করোনার খুব একটা যোগসূত্র নেই। অর্থাৎ ভাইরাসের উৎস অন্য কোথাও। তবে এরপর চীনা কর্তৃপক্ষ আর তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

এদিকে, বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৭৭ হাজার ৪৭১ জন। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৩ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৫ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এই তথ্য জানা যায়। ওয়ার্ল্ডওমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৮০ জন এখন পর্যন্ত মারা গেছেন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এই পর্যন্ত ২ কোটি ২৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৩৮ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৬৫৭ জনের। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখ ১ হাজার ৩৪৬ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৮ জনের।

ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ, সময় সংবাদ লাইভ

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা
খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা
আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী

আরও খবর