Header Border

ঢাকা, বুধবার, ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল) ২৪.৩৫°সে

আইভি রহমানকে খালেদা জিয়া সিএমএইচ-এ দেখে আসার পরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় -প্রধানমন্ত্রী

*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মৃত্যুশয্যায় থাকা নারীনেত্রী আইভি রহমানকে খালেদা জিয়া সিএমএইচে দেখতে যাবেন বলে প্রায় ৩/৪ ঘন্টা নাজমুল হাসান পাপন, বোন তানিয়া, ময়না এদের সবাইকে একটা রুমে তালা দিয়ে রেখে তারপর খালেদা জিয়া যান আইভি রহমানকে দেখতে।
খালেদা জিয়া আইভি রহমানকে সিএমএইচ-এ দেখে আসার পরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রের পরিকল্পনা বিভাগে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঠিক জানি না কখন কোন মুহূর্তে তিনি (আইভি রহমান) মৃত্যুবরণ করেছেন। তার ছেলে-মেয়েরা তার কাছে ছিলেন। সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাকে দেখতে যাবেন বলে তার ছেলে-মেয়েরা যারা বেডের কাছে ছিলেন তাদের একটা কামরার মধ্যে নিয়ে তালা মেরে রাখা হয়।’
খালেদা জিয়া চলে যাবার পরই আইভি রহমানকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ দিনটি ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মারাত্মকভাবে আহত আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও নারী নেত্রী এবং মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তার কথা স্মরণকালে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে আমার আইভি চাচির কথাই বেশি মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কথাটা অনেকেরই জানা নেই, আমি এটা জানিয়ে রাখলাম যে কত বড় নৃশংসতা এরা করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু হত্যার চেষ্টাই না, হত্যার পর লাশ নিয়েও তারা যে কর্মকাণ্ড করেছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মারা যাওয়ার পর অনেকের লাশ তারা দিতে চায়নি। লাশ আত্মীয়-স্বজনের কাছে তারা দেয়নি।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে দলের সমর্থক এবং যারা জীবিত তারা যেহেতু সাহায্য করতে যায় এবং সারারাত তাদের চেষ্টার পর একে একে সেই লাশগুলো হস্তান্তর করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাশটা পর্যন্ত দিতে চায়নি। পারলে লাশটা গুম করে ফেলতো, এই ছিল অবস্থা।
শেখ হাসিনা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের দেশে বিদেশে চিকিৎসা প্রদানসহ তাদের সুবিধা অসুবিধায় পাশে দাঁড়িয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, একে একে অনেকেই আজ ছেড়ে চলে গেছেন।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের তিনি দেশে, ভারতে এবং অন্য দেশে পাঠিয়েও চিকিৎসা করান। যাদের অনেকেই আজ আর নেই মারা গেছেন। অনেকেই পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।
সরকার প্রধান বলেন, আহতদের আমরা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে সহায়তা দিয়েছি এবং সে সময় একটা আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে যে ফান্ড এসেছে তা থেকে চিকিৎসাধীন প্রত্যেককে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি এবং এখনও আমরা দিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আহত যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের সহায়তা দিচ্ছি। মাসোহারা দিচ্ছি, তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, বিয়ে-শাদী যত রকমের সহযোগিতা দরকার আমি এখনও তা করে যাচ্ছি। যাদের খুব খারাপ অবস্থা ছিল আর্থিকভাবে তাদের সাহায্য এখনও অব্যাহত আছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানসহ সকলের জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন। তিনি গ্রেনেড হামলায় নিহত সবার জন্য দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে এক ডজনের ও বেশি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় এবং এই হামলায় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তার শ্রবণেন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা এবং নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ দলের ২২ নেতা-কর্মী নিহত এবং অন্তত ৫শ’ নেতা-কর্মী, পথচারী ও সাংবাদিক আহত হন।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

জাপার নতুন মহাসচিব শামীম হায়দার
প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে পুলিশ
মতিঝিল থেকে ২৮ হাজার ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সরকার পতনের ছক আকছে আওয়ামী লীগ !
সব বিভাগে টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস
৪৪তম বিসিএসে ৪৩০টি পদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও এতে সায় দেয়নি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

আরও খবর