Header Border

ঢাকা, রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩১.৯৬°সে

গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা, তারেক গং জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার কথা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তখন তো খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। কি ভূমিকা পালন করেছিল সে? সেটাই প্রশ্ন। সে কেন বাধা দিল পুলিশকে? সে কেন কোনো রকম উদ্যোগ নিল না আলামত রক্ষা করতে। এতে কি প্রমাণ হয়? গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে খালেদা, তারেক গং এরা যে জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এবং তদন্তেও সেটা বেরিয়েছে।’

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিফলকে প্রথমে তিনি এবং পরে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের হামলা করা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম, তাই বেঁচে গেছি। কিন্তু সেদিন যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল যেটা ওই খুনি রশিদ-ফারুকের বিবিসির সাক্ষাৎকারেই বেরিয়ে এসেছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছিল সবাইকে শেষ করে দিতে। তারও তো দায়িত্ব ছিল, সে তো উপ সেনাপ্রধান ছিল। সে তো তার ভূমিকা রাখেনি। বরং খন্দকার মোশতাক যে খুনি বেইমান, মোনাফেক, বাংলার আরেক মিরজাফর সে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ওই জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। যেহেতু এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল সেই কারণেই তো তাকে পুরস্কৃত করেছিল মোশতাক। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান মোস্তাককে সরিয়ে নিজে ক্ষমতায় আসে। নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেওয়ার পরে সেনাবাহিনীর যত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার তাদেরকে হত্যা করে। হাজার হাজার সেনাবাহিনীর সৈনিক অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, লাশ গুম করে ফেলেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির হাতে রক্ত। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে ২০০৪ সাল খালেদা জিয়া একইভাবে হত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসি তখন ২০১৪ সালে বিএনপির নতুন করে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে বহু মানুষ হত্যা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে অনেকেই দেখি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। আমার আপনজনকে হত্যা করার পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে জিয়াউর রহমান আমাকে ঢুকতে দেয়নি। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল?’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে এখন বিদেশে আছে। আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছে বলেই সেই সুবিধা নিয়ে বিদেশে বসে বক্তব্য দেয়। সাহস থাকলে বিদেশে বসে আছে কেন, বাংলাদেশে আসুক। বাংলাদেশের মানুষ তাকে ছাড়বে? বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

প্রথম ধাপে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা
চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত
বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা ইসির নজরদারিতে
মে মাসে ১৩টি বজ্রঝড়ের আভাস
দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা

আরও খবর