*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ বিশ্বের এক নম্বর দল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল বেলজিয়ামের কাছে ১-০ গোলে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে। ৪২ মিনিটে থরগান হ্যাজার্ডের অসাধারণ এক গোল জিতিয়েছে বেলজিয়ামকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে খেলবে বেলজিয়ানরা। পর্তুগাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ করলেও আসল কাজ গোলটাই করতে পারেনি দলটি। ফলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের একক মালিক হতে অপেক্ষাটা বাড়ল রোনালদোর। বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আলী দাইয়িকে গতকালই পেছনে ফেলতে পারতেন সিআর সেভেন। সেভিয়ার লা কারতুহা স্টেডিয়ামে ২৫ মিনিটে রোনালদোর ফ্রিকিকটা ডানে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন কোর্তোয়া। ফিরতি বলটা চলে যায় কাছেই দাঁড়ানো জোয়াও পালিনিয়ার কাছে। কিন্তু পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের দুর্বল হেড আবার চলে যায় কোর্তোয়ার হাতে। পুরো ম্যাচেই পর্তুগাল একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে। ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটেই প্রথম সুযোগটা দিয়োগো জোতার। রেনাতো সানচেস দারুণ একটা পাস দিয়েছিলেন ফাঁকায় দাঁড়ানো জোতাকে। যথেষ্ট সময় পেলেও বলটিকে শুধু বাইরে পাঠাতে পারেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে থরগান হ্যাজার্ডের গোলের আগে ৩৮ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর দাররুণ এক দৌড়ে প্রায় এলোমেলো করে দিয়েছিল পর্তুগিজদের। লুকাকুর ওই দৌড়ের চার মিনিট পরে পর্তুগিজ বক্সের বাইরে বল পেয়ে টমাস মুনিয়ের পাস দেন বাঁ পাশে থরগান হ্যাজার্ডকে।
দ্রুত দুটি স্পর্শে জায়গা বানিয়ে বাতাসে ভাসানো বাকানো শটে দারুণ এক গোল পেয়ে যান থরগান হ্যাজার্ড। পর্তুগাল গোলরক্ষক রুই প্যাত্রিসিওর এই গোল ঠেকানোর উপায় ছিল না। ৪৫ মিনিটে পালিনিয়া ফাউল করেন ডি ব্রুইনাকে। ওই চোটেই বিরতির পর উঠে যেতে বাধ্য হন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। ডি ব্রুইনা উঠে যেতেই একচেটিয়া খেলতে শুরু করে পর্তুগাল। ৫৫ মিনিটি জোয়াও মুতিনিও ও বেরনার্দো সিলভাকে উঠিয়ে ফার্নান্দো সান্তোস জোয়াও ফেলিক্স ও ব্রনো ফার্নান্দেজকে মাঠে নামালে আক্রমণের ধার বাড়ে পর্তুগালের।তাতে অবশ্য গোলের সুযোগ হারানোর আক্ষেপ ছাড়া আর কিছু পায়নি পর্তুগাল। পর্তুগিজরা নিজেদের দুর্ভাগাও ভাবতে পারে। ৮৩ মিনিটে সের্গিও অলিভিয়েরার শটটা যে লেগেছে পোস্টে।