সময় সংবাদ রিপোর্টঃ বরগুনা জেলাধীন বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি পদ প্রত্যাশী মেহেদী হাসান সিকদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিকের নামে।গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রফিকুল ইসলাম সাবেক বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মেহেদী হাসান উপজেলা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে সভাপতি পদপ্রার্থী। এর আগেও, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু সৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে যাওয়ার সময় তাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল রফিকুল ইসলামের নামে। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পৌর ও উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করলে একক আধিপত্য বিস্তার লাভে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দেয় উশৃঙ্খল পরিবেশ। এ উত্তেজনা যেন কাটছেই না।
আহত মেহেদী হাসান বলেন, ‘সন্ধ্যায় আকন বাড়ি খেয়াঘাট এলাকায় আমাকে একা পেয়ে বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক ১০-১২ জন লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার ওপর হামলা করে। পাইপ ও দা দিয়ে তারা আমার পায়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ মিথ্যা। মূলত রাজনৈতিক ঝামেলায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
কেউ কেউ বলছেন সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেও কমিটি দেওয়া হয়নি। আশপাশের প্রায় উপজেলার কমিটি দিলেও কেন এই উপজেলার কমিটি প্রকাশ করা হচ্ছে না তা নিয়ে বিভ্রান্ত অনেকে। এর জন্যই রাজনীতি এখন সহিংসতায় পূর্ণতা পেয়েছে।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মেহেদীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বেতাগী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’