Header Border

ঢাকা, সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল) ২৮.১৭°সে

জটিল প্রক্রিয়ার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ ধরে রাখতে পারছে না বাংলাদেশ

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ: ব্যবসার জটিল প্রক্রিয়ার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ ধরে রাখতে পারছে না বাংলাদেশ। সরকার ২০৪১ সালকে মাথায় রেখে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত, যেখানে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আসবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো নানাভাবে বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মাধ্যমে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে এবং সেই সঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থান। পাশাপাশি রপ্তানি আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এসব অর্থনৈতিক সফলতা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের ওপর। বিগত দিনে বিদেশী কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহও প্রকাশ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশী বিনিয়োগ বাংলাদেশের কাছে এখনো নিছক বিদেশী মুদ্রার উৎস। এই মনোভাব দিয়ে এখন আর চলবে না। বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা ও মূল্যশৃঙ্খলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে। বাণিজ্যকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হচ্ছে এফডিআই, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও বৈশ্বিক মূল্যশৃঙ্খলে অংশগ্রহণ। একইসাথে বিশ্বের অন্যমত বৃহৎ ইলেট্রনিক্স কোম্পানি স্যামসাং দেশে বিনিয়োগ করতে এসে ফিরে গেল? কেন কোরিয়ান কোম্পানি ইয়াংওয়ানও বছরের পর বছর অপেক্ষা করে ইপিজেড স্থাপনে জায়গা বুঝে পায়নি? এ দুই ঘটনায় স্পষ্ট, তাহলে কী কারণে বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারছে না, এ সবের উত্তর খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন তারা। এদিকে দেশের শেয়ারবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে বিদেশীদের কাছ থেকে বিনিয়োগ আনতে বিভিন্ন দেশে ‘রোড শো’ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারবাহিকতায় গত ফেব্রুয়ারিতে দুবাই এবং জুলাই মাসে আমেরিকা ‘রোড শো’ করেছে। বর্তমানে ‘রোড শো’ চলছে সুইজারল্যান্ডে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া চলমানের মধ্যে বিনিয়োগ করার পরিবর্তে বিদেশীরা উল্টো তাদের বিদ্যমান বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদেশীরা বাংলাদেশের শেয়ারবাজার থেকে ১ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অথচ আগের অর্থবছরে তাদের নিট বিনিয়োগ ছিল ২ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। এদিকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদেশীদের লেনদেনের পরিমাণও কমে গেছে। তারা গত অর্থবছরে ৮ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। যার পরিমাণ এর আগের অর্থবছরে ছিল ৯ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা।
কয়েক বছর আগে থেকে বিদেশী বিনিয়োগের প্রবাহ বাড়তে শুরু করলেও করোনা মহামারি সে গতিকে থামিয়ে দিয়েছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য মোটেই ভালো সংবাদ নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে বিদেশী বিনিয়োগের প্রবাহ ১০.৮০ শতাংশ কমে গেছে। আইএলওর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে ‘গ্রিন ফিল্ড’ বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে ৮৪ শতাংশ। অথচ ২০১৮ সালে বিদেশী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে পুঁজি এনেছিল ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি। ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া হলো বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতি। বিশেষ করে, তৈরি পোশাকের বাজারের ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এই ক্ষেত্রে একটি দুঃসংবাদ আছে। পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে ভিয়েতনাম। বিশ্বে পোশাক রফতানিতে একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থান এখন ভিয়েতনামের। আর বাংলাদেশ নেমে গেছে তৃতীয় অবস্থানে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। করোনা ভাইরাস দেখা দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অনেক প্ল্যান্ট ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় স্থানান্তর হয়েছে। কারণ, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য দ্রুত গতিতে বিভিন্ন পলিসি বা নীতিমালার সংস্কার করেছে। এ ধরনের ‘রিলোকেশন সুবিধা’ বাংলাদেশ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কেন ব্যর্থ হয়েছে তার অনেক কারণ আছে। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের তুলনায় ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও ভারতে করপোরেট ট্যাক্স অনেক কম।
অত্যন্ত দুঃখজনক হলো, ২০২০ সালের বিশ্বব্যাংকের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে ১৯০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৬৮তম। হতবাক হবার বিষয় ২০১০ সালে আমাদের র‌্যাংকিং ছিল ১১৯ নাম্বারে। তারমানে এই ১১ বছরে বাংলাদেশ অনেক নিচে নেমে গিয়েছি। ২০২০-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে ভারত ৬৩তম, ভিয়েতনাম ৭০তম, ইন্দোনেশিয়া ৭৩তম, ভুটান ৮৯তম, নেপাল ৯৪তম, শ্রীলঙ্কা ৯৯তম, পাকিস্তান ১০৮তম, মালদ্বীপ ১৪৭তম। তাহলে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে নতুন একজন উদ্যোক্তার বৈদ্যুতিক সংযোগ নিতে সময় লাগে ১৫০ দিন সেখানে ভিয়েতনামে সময় লাগে ৩১ দিন, সিঙ্গাপুরে ৩০ দিন, মালেশিয়ায় ২৪ দিন, ভারতে ৫৫ দিন। এছাড়াও, ‘ট্রেড লজিস্টিক পারফরমেন্স’-এর দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, বিনিয়োগ আকর্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ এবং নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুবিধা ও নীতির কারণেই ভিয়েতনাম রপ্তানি বাণিজ্যে ‘বিস্ময়কর’ সাফল্য পেয়েছে। বলে মনে করেন। বিদেশী বিনিয়োগ টানতে বাংলাদেশের ‘দূরদর্শী অর্থনৈতিক কূটনীতি’ জোরদার করতে হবে। জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে সারা বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ ব্যাপক হারে বাড়াতে হবে। ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে রেহমান সোবহান বলেন, ৩০ বছর আগেও অর্থনীতির প্রায় সকল সূচকে ভিয়েতনামের চেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। সময়মত বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ না করায় বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ভিয়েতনামের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে। এই সময়ের সরকারগুলোর কাছে বার বার সুযোগ এলেও দক্ষতা, বিচক্ষণতা এবং অনেক ক্ষেত্রে সুশাসনের অভাবে সেসব সুযোগ কাজ লাগাতে পারেনি।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর আত্মসন্তুষ্টি আছে উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, এই সন্তুষ্টি বোধ করার আগে ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা করা উচিত। তিনি বলেন, দেশি ও বিদেশী বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে সরকারের নীতির মধ্যে বড় গলদ আছে। অবস্থার উন্নতি করতে হলে ভিয়েতনামকে মডেল ধরে সরকারি নীতিতে আমূল ও আশু সংস্কার আনতে হবে। সুশাসনের ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোরিয়ান কোম্পানি ইয়াংওয়ান আজ পর্যন্ত তাদের কেনা জমির মালিকানা বুঝে পায়নি। ১৯৯৬ সাল থেকে চেষ্টা করছে তারা। স্যামসাং কোম্পানি কেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসেও না পেরে ভিয়েতনামে চলে গেল- এসব প্রশ্নের জবাব জানা খুব দরকার। ওই বিনিয়োগ দিয়েই ভিয়েতনামে ইলেকট্রনিকস পণ্যের রপ্তানির গতি ব্যাপকভাব বেড়ে যায়। এই ব্যর্থতা থেকে বড় ধরনের সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতা অন্য উদ্যোক্তাদেরও এ দেশে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করছে।
শুল্কমুক্ত সুবিধা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ‘এভরি থিঙ্কস বাট আর্মস (ইবিএ)’ স্কিমে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা ভোগ করছে বাংলাদেশ। ভারত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও জিএসপি সুবিধা ছিল। সব বড় বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা কেন কাজে লাগানো যায়নি। অথচ শুল্কমুক্ত সুবিধা ছাড়াই ভিয়েতনাম কীভাবে রপ্তানি বাণিজ্যে এগিয়ে গেল, এসব প্রশ্নের জবাব মেলাতে হবে। একইভাবে পণ্যে বৈচিত্র্য না থাকা, অবকাঠামো দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারা, এমনকি বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো পর্যন্ত বিদেশী বিনিয়োগ আনতে কাজ করেনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছে কত আগে, কিন্তু আদৌ তা ফিরিয়ে আনার জন্য তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। অথচ ভিয়েতনাম একটি সমাজতান্ত্রিক ধারার এবং বেশি ইংরেজি না জানা দেশ হয়েও তাদের মেধা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি সুবিধা আদায় করেছে। ইউরোপের সঙ্গে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার চুক্তি করেছে। অথচ আমরা তা এখনো করতে পারিনি।
পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশের তুলনামূলক অর্থনৈতিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৩২০ ডলার, ভিয়েতনামের ছিল মাত্র ১৩০ ডলার। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের আয় দাঁড়ায় ১৯৪০ ডলার, আর ভিয়েতনামের ২৫৯০ ডলার। ১৯৯০ সালে ভিয়েতনামের ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় ২০১৯ সালে হয়েছে প্রায় ২৮০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ভিয়েতনামে ১৯৯০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল প্রায় ৫৩ শতাংশ, বাংলাদেশের ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৯ সালের চিত্র হচ্ছে ভিয়েতনামে দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশে আর বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার রয়েছে গেছে ৯ দশমিক ২ শতাংশে। রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় ভিয়েতনামের স্থান ২৫, যেখানে বাংলাদেশ আছে ৫৬ নম্বর স্থানে। ভিয়েতনাম শুধু তৈরি পোশাকের মতো শ্রমঘন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল নয়। তারা এখন উচ্চ প্রযুক্তি রপ্তানি করছে, যা এখন তাদের মোট রপ্তানির ৪০ ভাগ। খাদ্য সংকটের দেশ তাইওয়ানও এখন চাল রপ্তানি করে। এমনকি প্রাথমিক পণ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি করে দেশটি। আবার তাদের রপ্তানি গন্তব্যও দু-একটি বাজারনির্ভর নয়। আর এসব সম্ভব হয়েছে মূলত এফডিআইয়ের কারণে।
এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবীর বলেন, কোনো উদ্যোক্তা কেন বাংলাদেশ ছাড়ল সরকার কখনো তো জানতে চায় না। উদ্যোক্তাদের কী সমস্যা, তারা কী সহযোগিতা চায় তা কেউ জানতে চায়নি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক সত্যেও কেন বিদেশী উদ্যোক্তারা এদেশে বিনিয়োগ না করে ভিয়েতনামে যাচ্ছে? এর কারণ বের করা উচিত।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে আছে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে। যেমন ভিয়েতনামের কাস্টমস থেকে পণ্য ক্লিয়ার করতে সময় লাগে ২-৩ ঘন্টা, আর বাংলাদেশে ২-৩ সপ্তাহ। তিনি বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ভাষ্যমতে, ভিয়েতনামে লাইসেন্স ও পারমিট এক দরজা থেকেই মেলে, আর বাংলাদেশে নানা দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে ৯ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য দরকার। এমনকি পোশাকের খাতের মধ্যেই বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। এখনো পাঁচটি পণ্য নির্ভর এই খাত। ম্যান মেইড ফাইবারের বিভিন্ন পণ্যে বৈচিত্র্য আনা যায়। পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি সেবা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মনযোগ বাড়ানো দরকার। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে হবে আমাদের।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, হাজার বছর ধরে আমরা অন্যদের দ্বারা শাসিত হয়ে আসছি। তাই শাসন ব্যবস্থা ও নীতিমালা গ্রহণে আমাদের অদক্ষতা থাকতে পারে। তবে সুশাসনে ভিয়েতনাম আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে এটা আমাদের কাছে অন্যরকম মনে হয়। দে আর ওয়ান পার্টি স্টেট। এক দলের দেশ। বাংলাদেশের রাজনীতি তা নয়। তিনি বলেন, ভিয়েতনামের অনেক কিছুর সঙ্গে বাংলাদেশে মিল নেই। তারপরও আলোচনা থেকে উঠে আসা বিভিন্ন সুপারিশ এবং পরামর্শ সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।

আলমগীর পারভেজ

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

মতিঝিল থেকে ২৮ হাজার ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সরকার পতনের ছক আকছে আওয়ামী লীগ !
সব বিভাগে টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস
৪৪তম বিসিএসে ৪৩০টি পদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও এতে সায় দেয়নি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের ৩০ হাজার ৮০৯ ভবনের ক্ষতি
সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

আরও খবর