Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৫.৯৬°সে

ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি ২ সপ্তাহের রিমান্ডে

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট ঃ গত সোমবার আটক হওয়া মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি এখন গৃহবন্দি। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর আটক হওয়া অং সান সু চিকে দুই সপ্তাহের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে স ুচিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এর মুখপাত্র কি তো’ র বরাতে এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। স্থানীয় সময় গত সোমবার সকালে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এক বছরের জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পর দেশে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নতুন সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেবে। এছাড়াও মিয়ানমারের সেনা শাসকদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ যে যৌথ বিবৃতি দিতে চেয়েছিল তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্বরাজনীতির দুই প্রভাবশালী দেশ চীন এবং রাশিয়া। এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গতকাল বুধবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। চিকিৎসকেরা সু চির মুক্তি দাবিতে গতকাল বুধবার থেকে কাজ বন্ধ রাখেন বলে জানিয়েছেন। কিছু চিকিৎসাকর্মী নীরব প্রতিবাদ জানাতে বিশেষ প্রতীক ব্যবহার করছেন।
এদিকে জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল বুধবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া, অন্যায়ভাবে আটক হওয়া সবাইকে মুক্তি দেওয়া এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের ঘটনায় ঐক্যবদ্ধভাবে নিন্দা জানিয়েছেন কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এদিকে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান অপরিহার্য ছিল এমনটাই দাবি করেছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাং। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ কথা বললেন তিনি। দেশটির সেনাবাহিনীর ফেসবুক পাতায় সেনাপ্রধানের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বহু বার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সে কারণেই আমরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হলাম।
এদিকে মিয়ানমারের ৩০ শহরের ৭০টি হাসপাতাল এবং অন্যান্য মেডিকেল বিভাগের কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে পথে নামতে তারা সব ধরনের সেবা দেয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সদ্য গঠিত মিয়ানমারের বেসামরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির কয়েকশ সংসদ সদস্যকে রাজধানী নেপিডো তাওয়ের খোলা আকাশের নিচে আটকে রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রসির নেত্রী অং সান সুচিসহ দেশের প্রেসিডেন্ট ও বহু সরকারি কর্মকর্তাকে আটকের একদিন পর সংসদ সদস্যদের আটক করে খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়।
গত বছরের নবেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তারপর থেকেই মূলত দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা। প্রথম থেকেই সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করে আসছে। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেই মূলত গত সোমবার ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা ও সমালোচনার পরও শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচিকে (৭৫) এখনও মুক্তি দেয়া হয়নি। এনএলডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজধানী নেপিডোতে সু চি এখন গৃহবন্দি। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানানো হয়েছে। মিয়ানমারে সোমবারের সেনা অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন রাস্তায় রাইফেল কাঁধে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ইয়াঙ্গুনে দেশটির প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, আগামী ১ জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে এবং সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
পনেরো বছরের গৃহ বন্দিত্বের অবসানের পর ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন অং সান সু চি, তার ১০ বছর কাটতে না কাটতেই আবারও বন্দি করা হল তাকে। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন সরনার বলছেন, নির্বাচনে সু চির দলের বিশাল জয় হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সু চির একজন প্রতিবেশী তাকে তার নিজের বাসায় দেখতে পেয়েছেন। এনএলডির প্রেস অফিসার কি তো এএফপিকে বলেন, তার প্রতিবেশী একজন জানিয়েছেন, সু চি ভালো আছেন জানাতে কিছু সময় তিনি কম্পাউন্ডে হাঁটাহাঁটি করেছেন। ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ গত মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও চালু হয়েছে। যদিও ইয়াঙ্গুনে অনেকেই মনে করেন, গণতন্ত্রের জন্য তাদের দীর্ঘ লড়াইয়ে হেরে গেছে। গত সোমবার ভোরে আটকের পর থেকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি কোথায় আছেন, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এনএলডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
সদ্য গঠিত মিয়ানমারের বেসামরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে এমনিতেই দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। সেনাবাহিনী দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর নিজেদের স্বার্থ চাপিয়ে দিয়েছে। মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ১শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম মিয়ানমার। বিক্ষোভকারী দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ সামরিক শাসনের কোনো নির্দেশ আমরা মেনে চলব না। বিক্ষোভে অংশ নেয়া চার চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।
ইয়াঙ্গুন থেকে ২৯ বছর বয়সী এক চিকিৎসক বলেন, আমি চাই সেনারা তাদের নিজেদের জায়গায় ফিরে যাক। তাদের জন্যই আমরা এখন হাসপাতালে যাচ্ছি না। আমি জানি না যে কতদিন আমরা কাজ বন্ধ রাখব। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। এনএলডি মুখপাত্র এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক থাকবেন ৭৫ বছর বয়সী সু চি। তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য তথ্যানুযায়ী আমদানি-রপ্তানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে ১৪ দিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে আল জাজিরা এক খবরে বলে, নেপিডোর সু চির বাসায় অভিযানের সময় বেশ কিছু ওয়াকিটকি রেডিও জব্দ করা হয়েছে বলে আদালতকে জানায় পুলিশ। এসব রেডিও অবৈধভাবে আমদানি করা এবং কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সেগুলো ব্যবহার হচ্ছিল। এ নিয়ে পুলিশ, সরকার এবং আদালতের কাছে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত সোমবার সকালে রাজধানী নেপিডো থেকে সু চির সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও। দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে তাকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে কিতো জানান। এদিকে, এনএলডির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা ও আইনপ্রণেতাদেরও আটক করে সেনাবাহিনী। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দুজন আইনপ্রণেতা জানান, রাজধানী একটি সরকারি হাউজিং কমপ্লেক্সে উন্মুক্ত বন্দীশালায় অন্তত ৪০০ আইনপ্রণেতাকে আটকে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সু চি সরকারের মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে নতুন সরকার ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের অল্প সময়ের পর একজন সাবেক জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সু চি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন মন্ত্রীদের অধিকাংশই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন রয়েছেন সেনা সমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি নবেম্বরের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।
জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২০ সালের নবেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং দ্রুত সংসদ আহ্বান করা উচিত। বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা ও সুশীল সমাজের নেতাকর্মীদের আটক এবং গণমাধ্যমকে লক্ষ্যবস্তু করায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাঁরা বলেন, তথ্য প্রবাহে সামরিক বাহিনীর নিষেধাজ্ঞাগুলো গভীর উদ্বেগের বিষয়।
জি-৭ নেতারা বলেন, সুশীল সমাজ, মিডিয়াসহ বেসামরিক নাগরিকদের কোনোভাবেই প্রতিশোধের শিকার হওয়া উচিত নয়। সর্বাধিক দুর্বলদের সহায়তায় আমরা মানবিক অধিকার পাওয়ার আহ্বান জানাই। জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ২০১৯ সালে তাদের যোগাযোগের কথা স্মরণ করে বলেন, আমরা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, শান্তি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি যারা গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ দেখতে চায়, বলেন তাঁরা।
কয়েকজন সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, বাসভবন কমপ্লেক্সের ভেতরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং বাইরের সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছে। সেনাবাহিনী তাদের ট্রাক দিয়ে সংসদ সদস্যদের যাওয়া আসার পথ আটকে দিয়েছে। সংসদ অধিবেশনের সময় এসব সংসদ সদস্য ওই বাসভবনে অবস্থান করেন। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আটকে থাকা সংসদ সদস্যরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন এবং তারা এই চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, তাদের অন্য কোনো স্থানে নেয়া হতে পারে। অং সান সুচি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ যেসব নেতাকে আটক করা হয়েছে তাদের কোথায় রাখা হয়েছে এখনো তা পরিষ্কার নয়।
হাড়ি-পাতিল পিটিয়ে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ: মিয়ানমার এখন সেনা সরকারের কবজায়। দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের প্রথম দিনেই অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন সরকারের অধিকাংশ সদস্যকে বরখাস্ত করে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করেছে। তবে মিয়ানমারের রাস্তাঘাটে খুব একটা বেশি পরিবর্তন চোখে পড়ে না। গত সোমবারের সেনা অভ্যুত্থানের পর গতকাল বধুবার সামরিক অভ্যুত্থানের দিনে মিয়ানমারের বাসিন্দারা নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলন শুরু করেছেন।
এসময় তারা গাড়ির হর্ন, থালাবাটি ও হাড়িপাতিল পিটিয়ে মিলিটারি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। মিয়ানমারের পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক কেপ ডায়মন্ড তার টুইটার পোস্টে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ তাদের বাড়ির বারান্দায় এসে থালা-বাসন পেটাচ্ছেন। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় সাধারণ মানুষ গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা
সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন
ইরানি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাবে ইসরাইল !
‘পৃথিবীর কোনো শক্তিই আমাদের বিরত রাখতে পারবে না’-নেতানিয়াহু
ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করবে বিএনপি

আরও খবর