Header Border

ঢাকা, রবিবার, ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল) ৩০.৬৭°সে

ঢাকায় চলবে ২২ কোম্পানির বাস কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডার হবেন বাস মালিকরা

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ  নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ‘বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন’ বিষয়ে গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘পরিবহন প্রতিনিধিরা একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন যানজট নিরসন এবং গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজধানীর ৪২টি রুটে ২২ কোম্পানিকে দিয়ে বাস চালানোর কথা ভাবছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। সেই প্রতিবেদন নিয়ে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করেছি। ঢাকায় বাস চলাচলের ২৯১টি রুট রয়েছে, তা কমিয়ে ৪২টি ক্লাস্টার রুটে নিয়ে আসার চিন্তা চলছে।’

আনিসুল হক যখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন, তখন তিনিও ঢাকার গণপরিবহন সংকট লাঘবে বিদেশ থেকে চার হাজার বাস এনে সেগুলো সাতটি আলাদা কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর বিষয়টি আর এগোয়নি। মেয়র তাপস অবশ্য বর্তমানে চলাচল করা বাসগুলোকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান, ‘বর্তমানে ঢাকা শহরে বিভিন্ন রুটে আড়াই হাজার বাস মালিকের বাস চলাচল করছে। সেখানে আমরা তাদের বাসগুলো ২২টি

কোম্পানি দিয়ে পরিচালনা করব। আর এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে বর্তমান বাস মালিকরা কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডার হবেন।’

বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তঃজেলা বাসগুলোকে আর ঢাকা মহানগরের মধ্যে ঢুকতে না দেওয়ার পরিকল্পনা। শেখ তাপস বলেন, ‘বাইরের বাসগুলো ঢাকা শহরের সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্ধারিত আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে চলে যাবে। তারপর ওইসব টার্মিনাল থেকে সিটি সার্ভিস বা এমআরটি বা সেবা দেওয়া বাহনের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজ গন্তব্যে যাতায়াত করবেন। এতে করে ঢাকা শহরের ওপর গাড়ির চাপ কিছুটা হলেও কমবে।’ তিনি বলেন, ‘এখন রাজধানীতে মাত্র তিনটি বাস টার্মিনাল আছে। এর মধ্যে দুটি উত্তরে ও একটি দক্ষিণে। টার্মিনালগুলোতে স্থান সংকুলান হয় না। ফলে বাসগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ওপর রাখা হয়। এ কারণে বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় অলোচনায় ঢাকায় বাস রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে ১০টি টার্মিনাল করার প্রস্তাব এসেছে। আমরা আরেকটি প্রতিবেদন চেয়েছি। আগামী মার্চের মধ্যেই এটি সম্পন্ন করতে হবে। টার্মিনালগুলো কোন কোন জায়গায় হতে পারে, এটা সবাই মিলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেবে। আমরা আগামী জানুয়ারির মধ্যে টার্মিনাল নিয়ে একটা প্রস্তাব দিতে পারব বলে মনে করি।’

কমিটির পরবর্তী বৈঠক বসবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। মেয়র বলেন, ‘তার আগে অংশীজনদের সঙ্গেও এসব বিষয়ে আলোচনা হবে। তারা আরও বিশ্লেষণ করবেন। ক্লাস্টার ও রুটগুলো নির্দিষ্ট করবেন। এটি চূড়ান্ত করতে পারলে এ কার্যক্রমে একটি বড় অগ্রগতি হবে বলে আমি মনে করি।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে বৈঠকে মতামত ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহসানে এলাহী, রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন কমিটির সদস্য সচিব ও ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এসএম সালেহ উদ্দীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমাল উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

মতিঝিল থেকে ২৮ হাজার ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার
৪৪তম বিসিএসে ৪৩০টি পদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও এতে সায় দেয়নি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ
মব জাস্টিসের নামে কোন কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না বিএনপি : রিজভী
‘সমাজকে মাদকমুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে’
২০তম বিসিএস ফোরামের নতুন কমিটি : আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন,সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ্ আরেফ

আরও খবর