সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীগুলোর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা সংকেত। চাপ কমাতে অন্তত ৬০টি জলকপাট খুলে দিয়েছে ভারত।
পশ্চিমবঙ্গ সেচ বিভাগ বলছে, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও ভুটানে ভারি বৃষ্টির কারণে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজে পানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ কারণে খুলে দেয়া হয়েছে ৪৪টি গেইটের সবগুলো। বুধবারও পানি ছাড়ার পরিমাণ ছিলো ১,৪৫০ কিউসেক।
এছাড়া ফারাক্কার ৮টি স্লুইসগেইট খোলার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। অতিরিক্ত পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায়, ঝাড়খন্ডের তিলপাড়া ব্যারেজের ৫টি গেইট খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিহারের সাথে পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া দামোদর ব্যারেজের ৩টি গেইট খুলে দিয়েছে সেখানকার প্রশাসন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তার পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি জমেছে গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজের লক গেটে। এ কারণে সব গেটই খুলে দিয়েছে ভারত। জানা গেছে, পানির চাপ থেকে ব্যারেজকে রক্ষা করতে ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ভারতের সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও ভুটানে ভারী বৃষ্টির কারণে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের লক গেটে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে সব গেটই খুলে দেয় ভারত। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের তিস্তার বুকে চর দেখা যাচ্ছিল। হাঁটুও ভিজত না পানিতে। তবে এখন পানিতে পরিপূর্ণ তিস্তা। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আরো বাড়বে তিস্তার পানি। এদিকে, পানি বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে, এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। তলিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নীচু গ্রামগুলো। এরই মধ্যে পানি ঢুকতে শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকায়।
মুহাম্মদ কামরুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ লাইভ।