আসামিরা হলেন নমথেনদাজো তাওয়েরা সোকো, নমসো ইজেমা পিটার ওরফে অস্কার, নডোলি ইবুকা স্ট্যানলি ওরফে পদস্কি, সাইফুল ইসলাম রনি ও আসাদুজ্জামান আপেল। তাঁদের মধ্যে আসামি সোকোর ছয় দিন ও অন্য চারজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
সময় সংবাদ রিপোর্ট : কোকেনসহ নতুন ছয় ধরনের মাদকদ্রব্য বিদেশ থেকে দেশে নিয়মিত ঢুকেছে। পাচার হয়ে দেশে ঢোকা অন্যান্য মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে খাত, আইস পিল (এনপিএস), ক্রিস্টাল, এমডিএমএ ও অ্যামফিটামিন। এসব মাদকদ্রব্য ভুয়া ঘোষণায় এনে বিভিন্ন দেশে পাচার করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
ডিএনসি সূত্র বলছে, কুরিয়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন লাগেজের মাধ্যমে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থলপথে চলছে এই মাদক পাচার।
মাদক পাচার রোধে চার বছর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) মাদক শনাক্তকরণে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে স্ক্যানার বসানোর উদ্যোগ নিলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
ডিএনসি কর্মকর্তা বলেন, কোকেন পাচারে আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিক জড়িত। এর মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসির পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন পাচারকারী দেশি-বিদেশি চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ডিএনসি সূত্র জানায়, সম্প্রতি একাধিক অভিযানে কোকেন পাচারের অভিযোগে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছেন ক্যামেরুনের নাগরিক কেলভিন ইয়েং (৪২), নাইজেরিয়ার নাগরিক ননসো ইজেমা পিটার ওরফে অস্কার (৩০) ও নুডুলে ইবুকা স্ট্যানলি ওরফে পোডস্কি (৩১), বাংলাদেশি নাগরিক সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি (৩৪) ও আসাদুজ্জামান আপেল (২৭)।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আট কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেনসহ মালাউয়ির নাগরিক নমথান্দাজো টাওয়েরা সোকোকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে ২০০ গ্রাম কোকেনসহ তানজানিয়ার নাগরিক মোহাম্মেদ আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএনসির তথ্য মতে, কোকোনের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় এই চালানটি মালাউয়ি থেকে ইথিওপিয়া ও দোহা হয়ে বাংলাদেশে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গত পাঁচ বছরে দেশে ১৫টি কোকেনের চালান ঢুকেছে। এর মধ্যে গত পাঁচ মাসের ব্যবধানে কোকেনের আরো দুটি বড় চালান বাংলাদেশ হয়ে সীমান্ত দিয়ে পাশের দেশে চলে গেছে। ওই চালানগুলো নিয়ে আসেন ক্যামেরুনের নাগরিক কেলভিন ইয়েংগি ও মালাউয়ের নাগরিক নোমথানডাজো তোয়েরা সোকো। নাইজেরিয়ায় অবস্থানরত জ্যাকব ফ্রাংকির নির্দেশে অন অ্যারাইভাল ভিসায় তাঁরা বাংলাদেশে আসেন।
ডিএনসির মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, এই চক্রের বিষয়ে তাঁরা আরো খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক এই চক্রের প্রধান হলেন ডন ফ্রাংকি। ৯ মাস আগে তিনি বাংলাদেশ ছাড়লেও নাইজেরিয়ায় বসে মাদক ব্যবসার সমন্বয় করছেন।