Header Border

ঢাকা, সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল) ২৮.২৮°সে

ধ্বংসস্তূপে মিললো তত্ত্বাবধায়ক হারুন হাওলাদারের লাশ

*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে মিললো তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ হাওলাদারের লাশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বিস্ফোরণের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এদিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল সকালে রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিত প্রাণহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন জানান, হারুন অর রশিদ হাওলাদারের মেয়ে বলেছিলেন ‘আব্বা মিসিং’। এরপর তাকে সন্দেহজনকভাবে এখানে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ধসে পড়া ভবনের সিঁড়ির কাছে চিলেকোঠার ডেব্রিজের (ধ্বংসাবশেষ) নিচে চাপা পড়া অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। দুদিন আগের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এ নিয়ে মোট আটজনের মৃত্যু হল। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন আরও তিনজন।
হারুন অর রশিদের মেয়ে হেনা বেগম বলেন, গত রোববার ওই বিস্ফোরণের পর থেকে তার বাবার খোঁজ মিলছিল না। সব হাসপাতালে খোঁজ নিয়েও বাবাকে না পেয়ে তিনি ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীদের জানান। বিকালে উদ্ধারকর্মীরা লাশ উদ্ধারের পর হেনা বেগম তার বাবাকে শনাক্ত করেন। ভয়াল ওই বিস্ফোরণে নিহত অন্যরা হলেন- কলেজ শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), প্রাইভেটকারচালক স্বপন (৩৯), বাসচালক আবুল কাশেম মোল্লা (৪৫), বেসরকারি চাকরিজীবী রুহুল আমিন (৩০), ভবনের নিচতলায় থাকা শর্মা হাউজের পাচক ওসমান গনি তুষার (৩৫), সেখানে খেতে যাওয়া জান্নাত বেগম (২৩) এবং তার নয় মাসের মেয়ে সোবহানা। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট এলাকা কেঁপে ওঠে। তাতে আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা রাখি নীড় ভবন ধসে পড়ে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় রাস্তার উল্টো দিকে আড়ং, বিশাল সেন্টার, নজরুল শিক্ষালয়, রাশমনো হাসনপাতালসহ আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাচ ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তায় থাকা তিনটি বাস ও যাত্রীরা।
তিনতলা ওই ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। বিস্ফোরণে ওই বিক্রয় কেন্দ্রের দেয়াল ভেঙে পণ্যের কার্টন বেরিয়ে পড়তে দেখা যায়। নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল, যা মোটামুটি মিশে গেছে। লোহার গ্রিল, আসবাবপত্র, ভবনের বিভিন্ন অংশ ছিটকে যায় রাস্তায়। ওই ঘটনায় আহত হন শতাধিক মানুষ, তাদের বেশিরভাগই সে সময় রাস্তায় বা আশপাশের ভবনে ছিলেন। তাদের অধিকাংশই বিস্ফোরণের ধাক্কায় ছিটকে যাওয়া কাচে আহত হন। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, তিনতলা ওই ভবনে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছে। সোমবার ধ্বংসস্তূপের বাতাস পরীক্ষা করে হাইড্রোকার্বন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে কেন, কীভাবে ওই বিস্ফোরণ ঘটল, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু কেউ বলেননি। বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস বিস্ফোরক অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, তিতাস ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

মতিঝিল থেকে ২৮ হাজার ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার
৪৪তম বিসিএসে ৪৩০টি পদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও এতে সায় দেয়নি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ
মব জাস্টিসের নামে কোন কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না বিএনপি : রিজভী
মাদকের করালগ্রাসে ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম
‘সমাজকে মাদকমুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে’

আরও খবর