Header Border

ঢাকা, সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল) ২৬.৯৬°সে

ফজরের নামাজের উপকারিতা

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট : হাদিসে ফজরের নামাজের প্রতি বিশেষ তাগিদ এসেছে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল সে আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো।’ মুসলিম। অন্য হাদিসে ফজরের নামাজ আদায়কারীকে জান্নাতি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ বুখারি, মুসলিম।

কিয়ামতের কঠিন সময় ফজরের নামাজ নুর হয়ে দেখা দেবে। এমনকি আদায়কারীকে মহাবিপদের দিনে পথ দেখাবে। হাদিসে এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যারা আঁধারে (ফজরে) মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদের কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নুর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।’ আবু দাউদ।ফজরের নামাজ আদায়কারীকে অর্ধেক রাত ইবাদতের সওয়াব দান করা হবে। হাদিসে এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত (নফল) নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ মুসলিম।ফজরের নামাজ আদায়কারীর নাম মুনাফিকের তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। হাদিসে এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক ভারী আর কোনো নামাজ নেই। কিন্তু তারা যদি এ দুই নামাজের ফজিলত জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও নামাজে উপস্থিত হতো।’ বুখারি। দুনিয়ার বুকে যত বস্তু আছে সবকিছু থেকে ফজরের নামাজ উত্তম। হাদিসে এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার সবকিছুর চেয়ে উত্তম।’ মুসলিম। ফেরেশতারা ফজরের নামাজ আদায়কারীর নাম আল্লাহর কাছে উল্লেখ করে। তাদের নামাজ আদায়ের সাক্ষ্য দেয়। হাদিসে এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা ওপরে উঠে যায়। আল্লাহ তো সব জানেন, তবু ফেরেশতাদের প্রশ্ন করেন, আমার বান্দাদের কেমন রেখে এলে? ফেরেশতারা বলে, আমরা তাদের নামাজরত রেখে এসেছি। যখন গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাজরত ছিল।’ বুখারি।

ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে পুরো দিনের কার্যক্রম বরকতম হয়। সবকিছুতে আল্লাহ-প্রদত্ত কল্যাণ লাভ হয়। হাদিসে এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য, তার সকালবেলায় বরকত দান করুন।’ তিরমিজি।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

মতিঝিল থেকে ২৮ হাজার ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সরকার পতনের ছক আকছে আওয়ামী লীগ !
সব বিভাগে টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস
৪৪তম বিসিএসে ৪৩০টি পদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও এতে সায় দেয়নি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের ৩০ হাজার ৮০৯ ভবনের ক্ষতি
সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

আরও খবর