সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার গুঞ্জনে বিক্ষোভ করেছে জেলা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের একাংশ। রবিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শতাধিক নেতা-কর্মী।
পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে সদর রোডে অবস্থান নেয়। এ সময় টায়ারে আগুন ধরিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সড়ক অবরোধ করতে নিষেধ করেন। একই সঙ্গে আগুন দেওয়া টায়ার নিভিয়ে ওই সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হোসাইন মুরাদ বলেন, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটি অনুমোদন হয়েছে যেকোনো সময় প্রকাশ করা হবে- শহরে এমন গুঞ্জন ও খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা রাজপথে নামেন। যেমন গুঞ্জন শুনছি যদি এরকম কমিটি ঘোষণা হয় তবে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ এ কমিটি মানবে না। আমরা রাতের আঁধারের কমিটি মানবো না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহাঙ্গীর কবীরের সম্মতি, সুপারিশ ও পরামর্শক্রমে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার কথা। কিন্ত সেটা না করে একজন দালালের মাধ্যমে কমিটি দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। এটা আমরা মানবো না।
জেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি সাবু কিবরিয়া বলেন, এর আগে যারা ছাত্রদল করত, যাদের পরিবার বিএনপির রাজনীতি করে তাদের জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
তিরি আরও বলেন, গোপন সূত্রে আমরা জেনেছি, একজন দালাল সেইসব লোকজনকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করার পাঁয়তারা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের সুপারিশে কমিটি দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছি। যদি রাতের আঁধারে দালালের কমিটি দেওয়া হয় আমরা মানবো না।
জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা আরিয়াম রুবেল বলেন এ আন্দোলন চলবে অবিরাম। অবিলম্বে কমিটি প্রত্যাহার করতে হবে। যোগ্যদের এবং ত্যাগের বিষয় বিবেচনা করে আবার নতুন কমিটি চাই এটি স্থানীয় রাজনীতি কোন তদবীর দিয়ে বরগুনা রাজনীতি হবে না।বরগুনা রাজনীতি আলাদা জনবান্ধহীন ব্যাক্তি নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।কঠিন আন্দোলন হবে কেন্দ্রীয় কমিটি এ বিষয় কোন ব্যাবস্থা না হলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতা জানান, কমিটি ঘোষণা নিয়ে যে রেজাউল করিম রেজাকে সভাপতি ও তৌশিকুর রহমান ইমরাণকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন হয়েছে। এতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সভাপতি পদ প্রত্যাশী সবুজ মোল্লা ও ইরফান আহমেদ বিশালের লোকজন এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
ঘোষণার পর এক ছাত্রনেতার বক্তব্য হলো যার কোন কর্মী নেই যিনি কর্মীদের মূল্যহীন আর রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা একটি জেলায় কী ভাবে নেতৃত্ব সামলাবে সামনে জাতীয় নির্বাচনে।তদবিরে পদ পাওয়া যায় কিন্তু সংগঠন চালানো যায় না এটি ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন নয়।এটি জেলা কয়েকটি সংসদীয় আসন,ও কয়েকটি উপজেলা রয়েছে।জানিনা উনি কী করতে পারবেন সব চাঙ্গা করত? তাকে সভাপতি করা এটি তৃনমূল নেতাকর্মীদের পরিশ্রমের ফল হয় নাই।ওই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমি মনে করি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই নেতৃত্বের যোগ্য এমন আছে। তাদের মধ্য থেকে সেরা দুজনকেই বেছে নেবে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয় বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। তারা কখনোই বিধি বহির্ভূতভাবে বিতর্কিতদের কমিটিতে স্থান দেবেন না। কমিটি প্রকাশ হওয়ার আগেই গুঞ্জনে কান দিয়ে বিক্ষোভ শোভনীয় নয়।
কিন্তু তার পর চিত্র পাল্টে গেলো এর আসল রসহ্য কী তা জানতে চান বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা।কিন্ত গুঞ্জন শুনা যায় এ কমিটিতে অনেকে পদত্যাগ বা সরাসরি না থাকার কথা।এমন কমিটি মানা যায় না এটি অপমানজনক কমিটি করা হয়েছে।বলে তারা ধারণা করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।