পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য ও তিন আনসার সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা আরেকটি মামলা করা হতে পারে।এ ঘটনায় নিয়ে ইউএনও’র অভিযোগ, উপজেলা চত্বরে ব্যানার-পোস্টার ছেড়ার সময় পরিচয় জানতে চাইলে তার বাসভবনে হামলা চালানো হয়। তবে সিটি করপোরেশনের দাবি, নিয়ম মেনে অবৈধ পোস্টার অপসারণের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন ইউএনও।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিটি করপোরেশনের লোকজন অনুমতি ছাড়া সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ঢুকে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে শুরু করেন। এ সময় ইউএনওর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাদের পরিচয় জানতে চান। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে আসেন। বিষয়টি তিনি জানার পর সিটি করপোরেশনের লোকজনকে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনিক এলাকায় রাতে ব্যানার উচ্ছেদ বা অপসারণ অভিযান না চালাতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তা উপেক্ষা করে অপসারণ অভিযান চালাতে থাকেন।
এসময় আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সিটি করপোরেশনের লোকজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এরপর সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ক্ষিপ্ত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা করেন। এসময় হামলা থেকে রক্ষা পেতে আনসার সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাকা রাবার বুলেট ছোড়েন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ অন্তত ৩০-৪০ জন আহত হন।
এম/পি….