সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃমানুষের জীবনকে উন্নত ও সুন্দর করার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের জন্য আর্থ-সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত করা, জীবনকে উন্নত করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। যে লক্ষ্যে বাবা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, সেটা আমাকে বাস্তবায়ন করতেই হবে।’
বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভার সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন সরকার প্রধান। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের মানুষের জীবন উন্নত করার বিষয়ে জাতির পিতা সবসময় গুরুত্ব দিতেন স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মানুষের জীবন যেন সুন্দর হয়, সম্মানজনক হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে এটাই হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য। যেটা জাতির পিতা সবসময় চাইতেন, বলতেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বজন হারানো বেদনা নিয়ে আমি একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। যে আদর্শ নিয়ে আমার বাবা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, সেটা আমাকে বাস্তবায়ন করতেই হবে। এটাই আমার প্রতিজ্ঞা। এই একটা জায়গায় আমি বলবো আমাকে করতেই হবে।’
গত ১৩ বছরে দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবো, ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হবো। এইটুকু বলতে পারি এখন আর বাংলাদেশকে কেউ আর করুণার চোখে দেখে না। সম্মানের চোখে দেখে।’
সভায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ ঘটনাবহুল এই মাসের তাৎপর্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এই মাসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসেই জন্ম নিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্ম-মর্যাদা দিয়েছেন।’
যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে জাতির পিতার অবদানের কথা স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা জাতির পিতা শেখ মুজিবের আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
করোনাকালেও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে যখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তখনও আমরা আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে পেরেছি। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। এই অতিমারির সময়ও সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।’
সময় সংবাদ লাইভ।