Header Border

ঢাকা, সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৩.৯৬°সে

কোভিড ১৯ মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে,বিশ্বে সবাই নিরাপদ না হলে কেউই টিকতে পারবে না -শেখ হাসিনা

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ বৈষম্য হ্রাস, দারিদ্র্য নির্মূলসহ পৃথিবীর রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কোভিড ১৯ মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে, সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। এজন্য বৈষম্য হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কার্বন নির্গমন হ্রাস করে আমাদের গ্রহকে সুরক্ষিত করতে হবে এবং আমাদের বহুপাক্ষিক প্রয়াসকে আরও জোরদার করতে হবে।
জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্পেন সরকার আয়োজিত ‘বহুপাক্ষিকতা জোরদারে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান’ শীর্ষক বৈশ্বিক এক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেন এবং কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট কার্লোস আলভার্দো কেসাদা সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, জর্ডানের উপ প্রধানমন্ত্রী, সেনেগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কেরিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টারের ধারণকৃত ভিডিও ভাষণ অনুষ্ঠানে প্রচার করা হয়। জাতিসংঘের ৭৫ তম বার্ষিকী উদযাপনের ভিডিও এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্যের একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে কার্যকর বহুপাক্ষিকতার বিকল্প নেই। মানবজাতির অভিন্ন অগ্রগতি এবং ন্যায়ভিত্তিক আন্তর্জাতিক নির্দেশনার এটিই একমাত্র পথ।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে যে সম্মিলিত প্রচেষ্টা থেকে যে কোনো বিচ্যুতি মানবজাতির জন্য বিপর্যয় নিয়ে আসবে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকতে সবার প্রদি আহ্বান জানান তিনি। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় তার সরকারের কর্মকাণ্ডও বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জনগণের জীবিকার সুরক্ষায় আমরা ইতোমধ্যেই ১৪.১৪ বিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছি, যা আমাদের জিডিপির ৪.৩ শতাংশ। মহামারির প্রভাব সত্ত্বেও সরকারের সময় উপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ ৫.২৪ শতাংশ জিডিপি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতার পতাকা বাহক। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সর্বোচ্চ উপস্থিতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার পক্ষে জোরালোভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, বহুপাক্ষিকতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার চেতনা বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব এবং জাতিসংঘের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জাতিসংঘ দুঃখ, দুর্দশা এবং সংঘাতের এই পৃথিবীতে ভবিষ্যৎ মানুষের আশার কেন্দ্র হয়ে থাকবে’। তার মন্তব্য এখনও আমাদের বহুপাক্ষিকতার ভিত্তি হয়ে আছে।
দ্বিতীয়বারের মতো ৪৮ সদস্যের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্ব দিতে নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ সম্মানিত বোধ করছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারও স্মরণ করেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা ইসির নজরদারিতে
মে মাসে ১৩টি বজ্রঝড়ের আভাস
দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা
খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা
আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

আরও খবর