সময় সংবাদ রিপোর্টঃ গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার দুপুর) পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, কু্উইন্স সেনিটারি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডই বিস্ফোরণের উৎসস্থল। বেইজমেন্টের এই আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেসটি রাজউকের বিধান অনুসারে খোলামেলা থাকলে সেখানে কোন ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরসন করা যেত। বায়ু গ্যাসসহ অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা যেত।
কিন্তু বাড়ির মালিকরা টাকার লোভে আন্ডারগ্রাউন্ডকে এক সময় রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেই রান্না ঘরের গ্যাসের লাইন যথাযথভাবে অপসারণ না করে তার উপরেই সম্পূর্ণ এয়ার টাইট এসি করা নির্মাণসামগ্রীর মার্কেট বানিয়ে দিয়েছেন। দোকানের মালিক বিল্ডিং কোডের বিধান না মেনে ভাড়া নিয়ে বেইজম্যান্টের ১ ইঞ্চি জায়গাকেও ফাঁকা না রেখে ডেকোরেশন করে দোকান বানিয়ে সেখানেই তার কর্মচারী ও ক্রেতা সাধাণের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন।
পুলিশ বলছে, এতগুলো প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভবনের মালিক এবং দোকানদারের স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ এবং অবহেলারই ফল। জান এবং মালের এ ব্যাপক ক্ষতির অভিযোগে ভবন মালিক ওয়াহিদর রহমান, মতিউর রহমান এবং দোকান মালিক আব্দুল মোতালেব ওরফে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে তার নাম কুইন সেনিটারি মার্কেট। এক সময় এটার নাম ছিল কুইন ক্যাফে। ১০ তলা ভবনের প্ল্যান করা হলেও ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেইজমেন্ট ও একতলা কমপ্লিট ছিল। এর বেইজমেন্টে ছিল রান্নাঘর আর একতলায় ছিল খাবারের হোটেল।
এই রান্নাঘরে কমার্শিয়াল গ্যাসের বড় লাইন ছিল যা পরে লিখিতভাবে তিতাসের কাছে সারেন্ডার করা হয়। ২০০৪ সালে ভবনটির সাততলা পর্যন্ত কমপ্লিট করা হয়। বর্তমানে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড বেইজমেন্টসহ সাততলা পর্যন্ত ভবনটি কমপ্লিট আছে। ভবনটির প্রকৃত মালিক মরহুম হাজী মোহাম্মদ রেজাউর রহমান। ২০১১ সালে তার মৃত্যুতে তার তিন ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্ত্রী বর্তমানে ভবনটির মালিক।