Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৭.৯৬°সে

ভাসানচরে ক্যাসিনোর জন্য জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

ডেইলি নিউজ রিপোর্ট॥ নোয়াখালীর ভাসানচরে ক্যাসিনোর জন্য জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন অভ্যাস যখন বদ অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তখন সেই বদভ্যাস যাবে না। লুকিয়ে-চুরিয়ে এগুলো করার থেকে কারা কারা এগুলো করতে চান আমাকে একটা তালিকা দিন, লাইসেন্স নিয়ে-ট্যাক্স দিয়ে আপনারা পরিচালনা করুন। আমার কোনো সমস্যা নাই।

বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সম্প্রতি জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান ও ভারতের দিল্লি সফরের অর্জন ও সফলতা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় চলমান শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী কিছুটা হাল্কা মেজাজে বলেন যারা এখন ক্যাসিনো খেলায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে, তাদের কেউ এখন দেশ থেকে ভেগে যাচ্ছে, টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। তাই আমি বলেছি একটা দ্বীপ খুঁজে বের করো। সেই দ্বীপে আমরা সব ব্যবস্থা আমরা করে দিবো। দরকার হলে ভাসানচর বিশাল দ্বীপ একপাশে রোহিঙ্গা আরেক পাশে আপনারা সবাই ওখানে চলে যাক। আমি বাস্তবতাটা বলছি। অভ্যাস যখন বদভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় এ বদভ্যাস তো যাবে না। বারবার খোঁজাখুজি করতে হবে। বারবার খোঁজাখুজি করার থেকে একটা জায়গাই দিয়ে দেবো। ভাসানচর খুবই বড় চর, কোনো অসুবিধা নেই। দশ লাখ লোকের বসতি দেওয়া যাবে।

লাইসেন্স নিয়ে ট্যাক্স দিয়ে ক্যাসিনো পরিচালনা করা যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন: কারা কারা করতে চান, একটা তালিকা করে দেন। লাইসেন্স নিতে হবে, ট্যাক্স দিতে হবে আমার কোন আপত্তি নেই। আমরা টাকা পাবো তো ডেভলপমেন্ট করতে পারেবো। এখন দেখা যাচ্ছে লুকিয়ে, চুরিয়ে করা এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর, দেশের জন্য ক্ষতিকর। একচরে পাঠিয়ে দিলাম সব, যাহ…। এছাড়া কোনো উপায় দেখছি না।

চলমান শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন: এই শুদ্ধি অভিযান কোন পর্যন্ত চলবে এটা এখনই বলা যাবে না। যতদূর পর্যন্ত প্রয়োজন চলবে। ক্যাসিনো-জুয়া এটা বহু বছর থেকেই ছিলো। এখন আমি যদি বলি আপনারা সাংবাদিকরাও তো বলেন নাই যে এমন কিছু একটা চলছে। আপনারা তো এতো খবর রাখেন, এতো এতো জায়গায় যান, আপনাদের ক্যামেরা এতো জায়গায় ঘোরে কোই এ জায়গায় পৌঁছায় নাই কেন কখনও? সেই প্রশ্নের জবাব কি দিতে পারবেন? পারবেন না। আর কেন পারবেন না, তাও যে একেবারে জানি না তা না। বাস্তবটা হলো আমি যখনই পেয়েছি, আমি তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়েছি।

ভারত সফরে আসামের এনআরসি বিতর্ক এবং তিস্তা চুক্তি নিয়ে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন: শুধু তিস্তা নয় আরও সাতটি সীমান্তবর্তী নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আসামের বিষয়ে আমি প্রাইম মিনিস্টার মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশের উদ্বিঘ্ন হওয়ার কিছু নেই। এখানে আশ্বস্ত হওয়াটা হলো মনের ব্যাপার। এখন আপনি মনের শক্তি নিয়ে চলবেন, না ঈশান কোনে কালো মেঘ দেখে ভয় পাবেন এটা আপনার মনের ব্যাপার। আমি তো কিছু করতে পারবো না।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী
তাপদাহে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ আরও বাড়াল আবহাওয়া অফিস
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়াল সরকার
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা
সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন

আরও খবর