Header Border

ঢাকা, বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩৪.৯৬°সে

হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষকের 

সময় সংবাদ রিপোর্ট : মির্জাগঞ্জে এক প্রধান শিক্ষককে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী ঐ শিক্ষকের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি উপজেলার ৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ৭৩ নং চন্দ্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মোঃ নজরুল ইসলাম। তিনি একই এলাকার মৃত্যু ছাদেম আলী হাওলাদারের ছেলে।

ভূক্তভোগী শিক্ষক ও বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায় যে, ভুক্তভোগী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও অভিযুক্ত ব্যক্তি মোঃ নজরুল ইসলাম ৭৩ নং চন্দ্র কান্দা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।০২/০৯/২০১০খ্রিঃ নজরুল ইসলাম বিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছুটি ছাড়া ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকুরি নেন। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে একাধিক বার শোকজ নোটিশ করেন এবং অনুপস্থিতির যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে বলেন।কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি শোকজের সঠিক জবাব না দিলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বিধি মোতাবেক অভিযুক্ত মোঃ নজরুল ইসলাম কে চূড়ান্ত ভাবে বিদ্যালয়ের চাকুরী থেকে বহিষ্কার করেন।

গত ০৯/০১/২০১৩ খ্রিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে সরকারি করণ ঘোষণা করলে বর্ণিত বিদ্যালয়টিও সরকারি হয়।তখন থেকেই মূলত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত নজরুলের মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দেওয়া শুরু হয়। এ যাবৎ প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নজরুলের করা ২৭ টি অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তদন্তে প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত ব্যক্তি মহামান্য আদালতে ৪ টি মামলা দায়ের করেছেন। বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগে তিনি ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কখনো নিজেকে একজন সাংবাদিক, কখনো উল্লেখিত বিদ্যালয়ের জমিদাতা,কখনো প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিয়ে অফিস আদালতে প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন ।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ভাই আমি ধূর্ত নজরুল ইসলামের মিথ্যা মামলা ও অভিযোগে বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমি তার জ্বালাতনে শ্রেণি কক্ষের পাঠদানে ঠিকমতো মনোনিবেশ করতে পারি না।এতে আমার ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিটি অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও সে থেমে নেই। বর্তমানে সে অফিস আদালতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করিতেছে।আমি এর প্রতিকার চাই।তার হয়রানি বন্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি ৭৩ নং চন্দ্রকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। আমি জমি দিয়ে ২০০৮ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেছি।২০১০ সালে বিদ্যলয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ প্রয়োজনে ছুটি নেই। ২০১১ সালে সাইফুল ইসলাম এস এস সি পাশের সনদ দিয়ে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সম্পূর্ন অবৈধভাবে শিক্ষক হয়ে আমাকে সুকৌশলে বেআইনি ভাবে চাকরিচ্যুত করেছেন।সাইফুল ইসলাম শুধুমাত্র একজন ভন্ডই নন প্রতারকও। নিয়োগকালিন তার কাম্য যোগ্যতা এইচএসসি পাশ ছিল না। বেআইনি ভাবে চাকরি নিয়ে দারুল ইহসানের জাল সনদ ব্যবহার করে বিল করিয়েছেন।আমি তার চাকরিচ্যুত সহ আমাকে চাকরিতে পূনঃবহালের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মোঃ আবদুস সালাম হাওলাদার, মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি,সময় সংবাদ লাইভ।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

সড়কে মৃত্যুর মিছিল:দশ বছরে প্রাণহানি ৭৮ হাজার,দায় নিচ্ছে না কেউ
প্রথম ধাপে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা
চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত
বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা ইসির নজরদারিতে
মে মাসে ১৩টি বজ্রঝড়ের আভাস
দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

আরও খবর