সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ সকাল ৬টার দিকে দুটো জাহাজে মোট ১ হাজার ১৯টি লাগেজ পাঠানো হয়। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজগুলো রওনা হয়।এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে নৌবাহিনীর ৮ জাহাজ। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জাহাজগুলো সেখানে পৌঁছে।
এর আগে স্বেচ্ছায় আগ্রহী ১৬৪২জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয় সাতটি জাহাজ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোট ক্লাব এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে স্থানীয় প্রশাসন তাদের এসব জাহাজে তুলে দেয়। এর আগে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের মালপত্রও জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজের ছয়টি নৌবাহিনীর, একটি সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনীর জাহাজটির নাম ‘শক্তি সঞ্চার’। আরও ১৯টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে স্কট জাহাজও রয়েছে।
নৌবাহিনীর সদস্যরা তিনটি ঘাট দিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে জাহাজে তুলছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ২০টি বাসে করে তাদেরকে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যন্ট কমান্ডার এম কে জেড শামীম জানান, তিনটি ঘাট থেকে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। বোট ক্লাব জেটি থেকে তিনটি, আরআরবি জেটি থেকে দু’টি ও কোস্টগার্ড জেটি থেকে সেনাবাহিনীর একটি জাহাজ করে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়া দুটি জাহাজে করে মালামাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গা নেওয়া হবে সেখানে। রোহিঙ্গাদের এই দলটি থাকবে ভাসানচরের অত্যাধুনিক আবাসন প্রকল্পে।
সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় ভাসানচরে গিয়ে থাকতে রাজি রোহিঙ্গাদের এ দলটির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প হিসেবে যাত্রা হতে যাচ্ছে ভাসানচরের।
এরই মধ্যে ভাসানচরে মজুদ রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। ভাসানচরে প্রথম ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের রাখা হবে ৫ থেকে ১১ নম্বর ক্লাস্টারে। তিন মাসের মজুদ সক্ষমতার খাদ্য গুদামে প্রস্তুত ৬৬ টন খাদ্যপণ্য। তবে প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে বেসরকারি সংস্থাগুলো। ইতোমধ্যে ২২টি এনজিওর প্রতিনিধিরা ভাসানচরে কাজ শুরু করেছেন।