Header Border

ঢাকা, রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩৩.৯৬°সে

২০২১ সালের মধ্যে  ৬৮ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ প্রতিজন দুই ডোজ করে এই ভ্যাকসিন পাবেন। গ্যাভি কোভ্যাক্স সুবিধা থেকে বাংলাদেশ এ ভ্যাকসিন পাবে। মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ শতাংশ হারে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ এই ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২০২১ সালের মধ্যে ৬৮ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ।
গতকাল বুধবার ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মা, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানান।
প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই বা গ্যাভি-টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট) কাজ করছে। আর যখনই ভ্যাকসিন আসুক না কেন, সারা পৃথিবীর মানুষ যেন একসঙ্গে পায় সে বিষয়ে গত ৪ জুন গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ‘কো ভ্যাক্স’ ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে পৃথিবীর সবাই যেন সমহারে ভ্যাকসিন পায়।
ডা. শামসুল হক বলেন, সারা পৃথিবীতেই এখন ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিন যেটাই আসুক আমরা যেন সেটা পেতে পারি সে লক্ষ্যেই কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যারা আগে জাতীয় ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনা জমা দেবে তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবে। গ্যাভি যখন থেকে পরিকল্পনা জমা নেওয়া শুরু করবে, আশা করছি আমরা প্রথম দিনই আমাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারবো।’
গত জুলাই বাংলাদেশ কোভ্যাক্সে আবেদন করে এবং গ্যাভি সেটি গ্রহণ করে গত ১৪ জুলাই। বাংলাদেশ গ্যাভির কাছ থেকে ৬৮ মিলিয়ন বা ছয় কোটি ৮০ লাখ ভ্যাকসিন পাবে ( দুই ডোজ) ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য। আর তাতে করে জনসংখ্যার হারে হয় ৩৪ মিলিয়ন বা তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষ আর এটা পাওয়া যাবে ২০২১ সালের মধ্যে। তবে গ্যাভি এটা বিনা পয়সায় দেবে না, এর জন্য কো-ফিন্যান্সিংয়ে যেতে হবে সরকারকে। আর এটা এক দশমিক ছয় থেকে দুই ডলারের মধ্যে কিনতে পারবো। আর বাংলাদেশ এ নিয়ে কাজ করছে।
তবে ভ্যাকসিন আসার আগে জরুরি হচ্ছে, ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান নিয়ে যে কাজ হচ্ছে যেটা একেবারেই শেষ পর্যায়ে বলে জানান ডা. শামসুল হক।
এছাড়াও গ্যাভি ভ্যাকসিন ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। সরকার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কিনতে পারবে  চার ডলারের বিনিময়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবহন খরচ সব মিলিয়ে, এর সঙ্গে পরে যোগ হবে আরও এক ডলার। সেখান থেকে বাংলাদেশ কিনতে পারবে ৩০ মিলিয়ন ডোজ । আর এজন্য অর্থ বিভাগ থেকে প্রায় ৭৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তবে এই ভ্যাকসিন অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রি-কোয়ালিফায়েড হতে হবে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকতে হবে। জনগণের সেফটির (নিরাপত্তা) কথা চিন্তা করে সবকিছু করা হবে, যদিও চুক্তি করা হয়েছে।
এ দুটি ভ্যাকসিনের সোর্স ছাড়াও সিনোভ্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে, রাশিয়ার স্পুৎনিক এগিয়ে আসছে, তাদেধর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে বলেন ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, জেএসকে গ্রুপের সেনোফি এবং ফাইজারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং যদি সেরকম ‘আর্জেন্সি’ হয়ে তাহলে কীভাবে তাদের ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে সে নিয়েও কথা হচ্ছে। তবে কোনও কোনও ভ্যাকসিন আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খুবই ‘কোয়েশ্চেনেবল’ এবং পৃথিবীর অনেক দেশেই এত ‘লো টেম্পারেচার’-এর ব্যবস্থা না থাকায় তারাও এ নিয়ে চিন্তিত।
এসব ভ্যাকসিন বিষয়ে কাজ করতে কোভিড ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করেছে সরকার। এছাড়াও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অব ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট কাজ করছে, রয়েছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপায়ের্ডনেস অ্যান্ড ডেপ্লয়মেন্ট কোর কমিটি।
মত বিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা
খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা
আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী

আরও খবর