Header Border

ঢাকা, সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩২.৯৬°সে

ঢাকা-দিল্লী ৫টি সমঝোতা স্মারক সই, নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন

সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সফরকারী  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ ট্রেনসহ কয়েকটি প্রকল্প ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বিকাল ৫টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছলে টাইগার গেটে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে তারা একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রেজিলেন্স এবং প্রশমন বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ ও ভারত। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়া (আইএনসিসি) মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক, বাণিজ্য নিয়ে একটি সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য, কোর্সওয়ার অ্যান্ড রেফারেন্স বুক সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক এবং রাজশাহী কলেজ মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় স্পোর্টস সুবিধা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সফর নিয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. মোমেন বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আসার জন্য। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছিলেন, “এই সফর হবে খুব বিশেষ তাৎপর্যের এবং এর মাধ্যমে আমাদের অনন্য ও বিশেষ সম্পর্কের উদযাপন হবে। যাতে জোর পাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিক।”
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করা হয়েছে।  শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অংশ নেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নতুন এ আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলো। তবে শনিবার উদ্বোধন হলেও করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকায় আপাতত যাত্রা করছে না ট্রেনটি। দু’দেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে ও ভারতীয় পর্যটন ভিসা চালু হলে ট্রেনটি শিডিউল অনুযায়ী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি রুটে চলাচল করবে।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে চিলাহাটি হয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি যাবে ট্রেনটি। ঢাকা থেকে চিলাহাটির দূরত্ব ৪৫৩ কিলোমিটার ও চিলাহাটি থেকে নিউ জলপাইগুড়ির দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার। আপাতত ভারতীয় রেকের মাধ্যমে সপ্তাহে দু’দিন চলাচল করবে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিউ জলপাইগুড়ি সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রোববার ও বুধবার চলাচল করবে।
ট্রেনটিতে চারটি এসি কেবিন, চারটি এসি চেয়ার ও দু’টি পাওয়ার কার ব্রেক ভ্যানসহ মোট ১০টি কোচ রয়েছে। মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া হচ্ছে- এসি কেবিন (বার্থ) ৪ হাজার ৯০৫ টাকা, এসি সিট ৩ হাজার ৮০৫ টাকা, এসি চেয়ার ২ হাজার ৭০৫ টাকা। এছাড়া ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবে ভ্যাট ও ট্রাভেল ট্যাক্স। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন উপহার বিনিময় করেছেন। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বানানো একটি করে স্বর্ণ ও রুপার কয়েন মোদিকে উপহার দেন শেখ হাসিনা। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাজানো একটি রুপার কয়েন দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে ভারত সরকারের দেওয়া করোনা প্রতিরোধক ১২ লাখ ডোজ টিকা উপহারের প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে তুলে দেন মোদি। এছাড়া শেখ হাসিনার হাতে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্সের প্রতীকী চাবি দিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রথম বিদেশি কোনো সরকারপ্রধান হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পৌঁছান তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাও এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে রাখা দর্শনার্থী বইয়েও সই করেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা
খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা
আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী
তাপদাহে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ আরও বাড়াল আবহাওয়া অফিস

আরও খবর