Header Border

ঢাকা, রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৮.৯৬°সে

টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারলো বাংলাদেশ

সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারল বাংলাদেশ। গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ ডি/এল মেথডে হেরেছে ২৮ রানে। ফলে টানা দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ আগে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। আর ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এক ম্যাচ আগে হারল টাইগাররা। তবে গতকাল ম্যাচে সৌম্য সরকারে ব্যাটিংয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বশীল হতে না পারায় আবারও ব্যর্থ টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত হারতেই হয়েছে বাংলাদেশকে। গতকাল টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির আগে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করে ১৭৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ বেধে দেওয়া ১৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করে ১৪২ রান। ফলে দলটি জয় পায় ২৮ রানে। অবশ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুটা কিন্তু ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ভালো বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে কম রানে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু শেষ দিকে গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ো ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। ৩১ বলে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ফিলিপস। ২৭ বলে পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। ১৬ বলে ৩৪ রানের মিনি ঝড় তুলেন মিচেল। ফিলিপসের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছয়। মিচেলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার। বাংলাদেশের হয়ে ৪৫ রানে দুটি উইকেট মেহেদী হাসানের। একটি করে নিয়েছেন সাউফউদ্দিন, তাসকিন ও শরিফুল। এই ম্যাচেও অবশ্য দেখা গেছে সফরে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিয়মিত ঘটনা-ক্যাচ হাতছাড়া। তাসকিনকে ছক্কায় ওড়ানোর পরের বলেই ক্যাচ দেন অ্যালেন। অনেক উঁচুতে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। তবে ওভারের শেষ বলে আবার আকাশে তুলে দিয়ে স্কয়ার লেগে মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাতে ধরা পড়েন অ্যালেন (১০ বলে ১৭)। অবশ্য এই ম্যাচে খেলা তাসকিন আহমেদের হাত ধরে আসে প্রথম উইকেট। এছাড়া একটি অসাধারণ ক্যাচ নেন তাসকিন। গাপটিল এর বল শর্ট ফাইন লেগে বাঁ দিকে লাফিয়ে অবিশ্বাস্য ক্ষীপ্রতায় এক হাতে বল মুঠোবন্দি করেন তাসকিন। নিউজিল্যান্ড ইনিংসে দুই দফায় বিঘ্ন ঘটে বৃষ্টিতে। প্রথমবার খেলা বন্ধ থাকে ২৫ মিনিট। পরেরবার বৃষ্টি নামলে সেখানেই থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। জয়ের জন্য বেধে দেয়া ১৬ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেটটা বিশালই ছিল। অবশ্য নেপিয়ারে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডি/এল মেথডে নির্ধারিত হয় বাংলাদেশের লক্ষ্য। ১৬ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭০ রান। যদিও শুরুতে এই লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়েই নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে একটু। প্রথমে জানা গিয়েছিল ১৬ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৪৮ রান। কিন্তু পরে ম্যাচ রেফারির নির্দেশে নতুন করে জানানো হয় লক্ষ্য। ততক্ষণে অবশ্য ১.৩ ওভার বল মাঠে গড়িয়েছিল। এর পরেই নির্ধারিত হয় চূড়ান্ত লক্ষ্য। তারপরও বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল সম্ভাবনায় উজ্জ্বল। ওপেনার নাইম বরাবরের মতো মেরে খেলার চেষ্টা করেছেন। অপরপ্রান্তে থাকা লিটন দাস ব্যর্থ হয়েছেন যদিও। বেনেটের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ফিলিপসের হাতে মাত্র ৬ রানে। দ্বিতীয় ওভারে লিটন ফেরার পর অবশ্য ঝড়ো ভঙ্গিতেই খেলতে থাকেন সৌম্য সরকার। তাতে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে আসে ৫৬ রানে। এর পর তো তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে বাংলাদেশ। কারণ ৫টি চার ৩ ছক্কায় ২৭ বলে তুলে ফেলেছিলেন ৫১ রান। ১০.১ ওভারে তাকে অসাধারণ ক্যাচে মিলনের তালুবন্দি করান টিম সাউদি। তখন স্কোর ছিল ১০.১ ওভারে ২ উইকেটে ৯৪।  কিন্তু সৌম্যর বিদায়ের পরই জয়ের আশা মিলিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের। যাও কিছুটা সম্ভাবনা টিকে ছিল, সেটিও শেষ হয় রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারায়। এর ওপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারায় মাহমুদউল্লাহরা। শুরুতে আক্রমণাত্মক নাঈম পরে হয়ে পড়েন বাক্সবন্দী। তিনি ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরলে বাকিরাও ফিরতে থাকেন একের পর এক। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে বোল্ড ২১ রানে, আফিফও বোল্ড হয়েছেন মাত্র ২ রানে। এর পর ফিরেছেন মিঠুন (১)। সাইফউদ্দিন ৩ রানে ফিরলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ১৪২ রান। ব্যাট হাতে ঝড়ের পর বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা গ্নেন ফিলিপস। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি, হামিশ বেনেট ও অ্যাডাম মিলনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ১৭.৫ ওভারে ১৭৩/৫ (গাপটিল ২১, অ্যালেন ১৭, কনওয়ে ১৫, ইয়াং ১৪, ফিলিপস ৫৮*, চাপম্যান ৭, মিচেল ৩৪*; নাসুম ৪-০-২৫-০, সাইফ ৩-০-৩৫-১, তাসকিন ৩.৫-০-৪৯-১, শরিফুল ৩-০-১৬-১, মেহেদি ৪-০-৪৫-২)।
বাংলাদেশ: (লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৭০) ১৬ ওভারে ১৪২/৭ (নাঈম ৩৮, লিটন ৬, সৌম্য ৫১, মাহমুদউল্লাহ ২১, আফিফ ২, মিঠুন ১, মেহেদি ১২*, সাইফ ৩, তাসকিন ০*; সাউদি ৪-০-২১-২, বেনেট ৪-০-৩১-২, মিল্ন ৩-০-৩৪-২, সোধি ৩-০-৩৪-০, ফিলিপস ৩-০-২০-১)।
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ২৮ রানে জয়ী নিউ জিল্যান্ড।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড।
ম্যান অব দা ম্যাচ: গ্নেন ফিলিপস।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ষোড়শ এশিয়া কাপের পর্দা উঠছে আজ
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা তামিমের
হঠাৎ সংবাদ সম্মেলনের ডাক তামিমের, আসতে পারে বড় ঘোষণা
আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
ফাইনালে ভারতের সঙ্গে পারল না বাংলাদেশের মেয়েরা

আরও খবর