সময় সংবাদ রিপোর্ট: চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক ভারী যান চলাচলকারী রাস্তাগুলো সংস্কারে বন্দরের অর্থায়ন চায় সিটি করপোরেশন।ইতোমধ্যে এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবনা নৌ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, ভারী যানবাহন চলাচলকারী রাস্তা নির্মাণে আধুনিক ও বিশেষ মান বজায় না রাখলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
দেশের আমদানি-রফতানির ৯৮ শতাংশ কনটেইনার পরিবহন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। প্রতিদিনই গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার প্রাইম মুভার, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক সারা দেশে কন্টেইনার পরিবহন করে।আবার রপ্তানি পণ্যের ৯০ শতাংশই দেশের বিভিন্ন কারখানা থেকে কাভার্ডভ্যানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি ডিপোতে এনে কনটেইনারিং করে বন্দরে আনা হয়। বিশাল এ কর্মযজ্ঞের পুরোটাই হয় সড়কপথে।ভারী এসব যান চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন্দরকেন্দ্রিক সড়কগুলো। ফলে প্রতি বছরই রাস্তা মেরামতে বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হয় সিটি করপোরেশনকে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে বন্দরের অর্থায়ন চায় সিটি করপোরেশন।সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পোর্ট থেকে যে ভারী গাড়িগুলো আমাদের রাস্তায় বের হচ্ছে এবং চলছে, আমাদের রাস্তাগুলো যে নষ্ট করে দিচ্ছে, সেজন্য আমি একটা প্রস্তাব রেখেছি।
সেটা হচ্ছে, এই গাড়িগুলো থেকে আমরা টোল আদায় করব।তবে আপত্তি নেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।তিনি বলেন, টোল নতুন কিছু না। এটা আমাদের এখানে ছিল। আবার নতুনভাবে চিন্তা করা হচ্ছে। কেননা, এটা না হলে সিটি করপোরেশনের আয়ও থাকতে হবে। সিটি করপোরেশনের এরিয়া দিন দিন বেড়েই চলেছে। ব্যয়ও বেড়েই চলেছে। ভালো সার্ভিস দিতে হলে কিছু ট্যাক্স দিতে হবে সরকারকে। ফোরাম ফর প্ল্যানড চট্টগ্রামের সভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, ডিজাইনারকে দেখতে হবে যে এই টনের গাড়িগুলো যদি যায় তাহলে আমার ডিজাইনটা কি হবে, কন্সট্রাকশনগুলো কি হবে, আমার পাথরের কোয়ালিটি কি হবে, বিটুমিনের কোয়ালিটি কি হবে, এসব কিন্তু আছে। কিন্তু আমরা মানছি না। গত বছর চট্টগ্রাম বন্দর প্রায় ৩২ লাখ কনটেইনার পরিবহন করে। এর মধ্যে শুধু সড়কপথে পরিবহন হয় সাড়ে ৩০ লাখের বেশি।