মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা থমকে গিয়েছিল বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মাসেতুর কাজ। সংক্রমণ কমে গেলে আবার পূর্ণোদ্যমে নির্মাণ শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে ৮ ও ৯ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়েছে ৩৫তম স্প্যান। এতে করে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার।
মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, গতকাল শুক্রবার স্প্যানটি বসানোর কথা ছিলো, কিন্তু নাব্যতা সঙ্কটের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আজ (শনিবার) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে আমরা ৩৫তম স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হয়েছি। ৩৪তম স্প্যানটি বসানোর মাত্র ৭ দিনের মাথায় পরবর্তী এই স্প্যানটি বসলো। কাজের এমন অগ্রগতিতে আমরা ভীষণ খুশি।
করোনাভাইরাস ছাড়াও প্রচণ্ড স্রোতের কারণে মাঝের বেশ কয়েকদিন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। তারপরও ইতোমধ্যে নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৮৪ শতাংশ। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসেছে ৩৫টি। ৪২টি পিয়ারের মধ্যে সবগুলোর কাজ শেষ। সেতু দৃশ্যমান হয়েছে ৫ হাজার ২৫০ মিটার। দুই পাশের সংযোগ সড়কে টোল প্লাজার কাজও শেষ।
বাংলাদেশের অন্যতম বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। প্রথমে এর কাজ শেষ হওয়ার টার্গেট রাখা হয়েছিল ২০২০ সাল। পরে সেটা বাড়িয়ে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুন মাসে। সর্বশেষ আরেক ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ২০২২ সাল নাগাদ শেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর আকৃতি হবে দোতলা।