Header Border

ঢাকা, সোমবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল) ২২.৯৬°সে

করোনা আক্রান্ত ক্যান্সার রোগীরাও আইভারমেক্টিনে সুস্থ হচ্ছেন!

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট: করোনা আক্রান্ত ক্যান্সার রোগীরাও আইভারমেক্টিনে সুস্থ হচ্ছেন। আইভারমেক্টিন একটি অ্যান্টি প্যারাসাইটিক ওষুধ। মূলত শরীরের প্যারাসাইট বা পরজীবী ধ্বংস করতে ওষুধটির ব্যবহার হয়ে আসছিল।

রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল স্কয়ারের অনকোলজি ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন মঙ্গলবার এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তিনি স্কয়ার হাসপাতালের ক্যান্সার ইউনিটের ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ক্যান্সার রোগীকে আইভারমেক্টিন দিয়ে করোনাভাইরাস মুক্ত করেছেন।

তিনি জানান, ‘আমি এ তথ্যটা এ জন্য দিলাম যে, অন্যান্য চিকিৎসকও করোনা মুক্ত করতে যেন রোগীদের আইভারমেক্টিন ব্যবহার করতে পারেন।’

অধ্যাপক সৈয়দ আকরাম হোসেইন জানান, ‘ক্যান্সারের আক্রান্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসা কী হবে তা নিয়ে অনেক চিকিৎসকই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।

অধ্যাপক আকরাম হোসেন বলেন, ‘অ্যান্টি প্যারাসাইটিক এ ওষুধটি ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে প্রয়োগ করা যায় এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এ ছাড়া করোনা শনাক্ত হওয়ার শুরুতেই ব্যবহার করতে পারলে খুব ভালো কাজ করে।’

বাংলাদেশে গত মে মাসে ধানমন্ডির ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের’ অধ্যাপক ডা: তারিকুল আলম ৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে আইভারমেক্টিন প্রয়োগ করেছেন। তার গবেষণা সফল হলে তিনি সংবাদমাধ্যমেও তা প্রকাশ করেন। তার এ গবেষণা বিদেশী প্রচারমাধ্যমেও স্থান পায়।

এ সাফল্যের পর সম্প্রতি মহাখালী কলেরা গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর,বি রাজধানীর চারটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে আইভারমেক্টিন নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। এ গবেষণার অর্থায়ন করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল। আইসিডিডিআর,বি জানিয়েছে, গবেষণাটি শেষ হলে তারা শিগগিরই গবেষণার ফল জানাবেন।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিসিন ডিসকভারি ইনিস্টিটিউটের গবেষকরা ল্যাবরেটরি গবেষণায় দেখেছেন যে, আইভারমেক্টিনের এক ডোজ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরএনএ ভাইরাস করোনাকে বাধা প্রদান করতে পারে। ফলে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় আইভারমেক্টিনের আরো অধিকতর গবেষণার সুপারিশ করেছেন। অনলাইনে মোনাশ ইউনিভার্সিটির এই গবেষণার ফল প্রকাশের পর বিভিন্ন দেশে করোনা রোগীদের ওপর ব্যাপক হারে এই আইভারমেক্টিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে বিশ্ববাজারে সর্বপ্রথম আইভারমেক্টিন ওষুধটি বাজারজাত করা হয়। তখন থেকে এটি ফাইলেরিয়াসিস রোগে ব্যাবহার করা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা অন্যান্য প্যারাসাইটিক সংক্রমণেও এটি ব্যবহার করা যায় কি না তা নিয়ে গবেষণা করেন। স্ক্যাবিস ও উকুননাশক হিসেবে এর ব্যবহার হলে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এফডিএ ১৯৯৮ সালে আইভারমেক্টিন অনুমোদন করে।

বাংলাদেশে ডেলটা ফার্মা প্রথমবারের মতো ‘স্ক্যাবো ৬’ নামে আইভারমেক্টিন ৬ মিলিগ্রাম ওষুধটি ট্যাবলেট আকারে উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করে। স্ক্যাবো-৬-এর প্রতিটি ট্যাবলেটের খুচরা মূল্য পাঁচ টাকা।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

মানববন্ধনে নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপি কমিশনারকে বিএনপির চিঠি
আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কৌশলে বিরোধী দলগুলো
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’: রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
পছন্দের থানায় যেতে ওসিদের দৌড়ঝাঁপ
কারাবন্দি নেতাকর্মীর ‘যন্ত্রণার জীবন’
বাছাই ডিঙাতে পারেননি আলোচিত অনেক প্রার্থী

আরও খবর