Header Border

ঢাকা, রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩১.৯৬°সে

টাইপ ওয়ান ও টাইপ টু ডায়বেটিস

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ বহুমূত্র রোগ, মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস(ইংরেজি: Diabetes mellitus) একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ। দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ‘ডায়াবেটিস’ বা ‘বহুমূত্র রোগ’। তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। ইনসুলিনের ঘাটতিই হল এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যেকোনো একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।

টাইপ ওয়ান ডায়বেটিস

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্ররোগের একটি ধরন হ’ল টাইপ ওয়ান ডায়বেটিস যেক্ষেত্রে শরীরে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায়; খুব-ই সামান্য উৎপন্ন হয় বা কোনো ইনসুলিন উৎপন্নই হয় না।

টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের লক্ষণ-

১. ক্ষুধা বৃদ্ধির পরেও হঠাৎ দেহের ওজন কমে যাওয়া।

২. ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ চাপা।

৩. দৃষ্টিশক্তিতে হঠাৎ পরিবর্তন হওয়া। রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার পরিবর্তনে এটি হতে পারে।

৪. প্রস্রাবে গ্লুকোজ বা শর্করার উপস্থিতি।

৫. অনেকেই নিশ্বাসের সঙ্গে মিষ্টি বা ফলের ঘ্রান পান।

৬. অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া।

৭. ঘুম ঘুম ভাব ও আলসেমি প্রবণতা। রক্তে গ্লুকোজের অভাবে উদ্যমহীনতায় এমনটা হতে পারে।

৮. ভারি শ্বাস-প্রশ্বাস, বা শ্বাসকষ্ট ও চিন্তাভাবনায় অসারতা। কখনো কখনো তা সংজ্ঞাহীনতায় পরিণত হতে পারে।

টাইপ টু ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস মেলিটাস টাইপ-২ (ইংরেজি: Diabetes mellitus type 2) একটি বিপাকীয় রোগ যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নামেও পরিচিত। রক্তে শর্করার আধিক্য, ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ও শরীরে ইনসুলিনের আপেক্ষিক ঘাটতি প্রভৃতি এই রোগের বৈশিষ্ট্য। প্রাথমিকভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হল অতিস্থূলতা ও শারিরীক পরিশ্রমের অভাব। [১] কিছু কিছু ব্যক্তি বংশীয়ভাবে এই রোগের ঝুঁকিতে থাকে। [৬] মোট ডায়াবেটিস রোগীর প্রায় নব্বই শতাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। বাকি দশ শতাংশ প্রাথমিকভাবে টাইপ-১ ডায়াবেটিস ও জেস্টেশনাল বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।

টাইপ টু ডায়াবেটিসের লক্ষণ

১. দেহের ওজন বৃদ্ধি।

২. অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া।

৩.ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ চাপা।

৪. কাজে অবসাদ। চিন্তাভাবনায় অসারতা

৫. দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন ও ঝাপসা দেখা।

৬. দেহে প্রায়ই সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা। বিশেষ করে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে গেলে ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়।

৭. কোথাও কেটে গেলে বা সংক্রমণ হলে তা সারতে দীর্ঘদিন সময় লাগা।

৮. হাতের আঙুল ও পা টন টন বা শির শির করা। রক্তের উচ্চমাত্রার গ্লুকোজ নার্ভের ক্ষতি করে। এ কারণেই এমনটা হয়।

৯. টাইপ টু ডায়াবেটিসের কারণে পুরুষের যৌনতাতেও পরিবর্তন হতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ওষুধের দামে নাভিশ্বাস
এ বছর বেশি শীত অনুভূত হওয়ার কারণ কী ?
লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
‘খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই’
সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮০ হাজার ছাড়াতে পারে
শাহজালালে ৮ কেজি স্বর্ণসহ এয়ারক্রাফট মেকানিক আটক

আরও খবর