Header Border

ঢাকা, শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩১.৯৬°সে

৩০ দিনে বিএনপি-জামায়াতের ৬০০ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

সময় সংবাদ রিপোর্টঃ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। ঢাকায় বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত এক মাসে বিএনপি-জামায়াত ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এত কম সময়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়ার ঘটনা বিরল।

মামলাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাজা ঘোষণা করা এসব মামলার বেশিরভাগই নাশকতার অভিযোগে দায়ের হওয়া। গত কয়েক বছরে এসব মামলা দায়ের হয়েছে। বিনা অনুমতিতে রাস্তায় জমায়েত, নাশকতা, সম্পদের ক্ষতি করা, যানবাহনে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর এবং পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল।

এর মধ্যে ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে দায়ের করা ৩০টি মামলায়ও অনেককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত।

গত এক মাসে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৬১০ জনের মধ্যে গতকাল রোববার ৭৩ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার বংশাল, কলাবাগান ও কোতোয়ালি এলাকায় নাশকতার মামলায় তাদের কারাগারে রাখা হয়েছিল।

এর মধ্যে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকার বংশাল থানায় দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের চার জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

২০১৩ সালের নভেম্বরে কলাবাগানে নাশকতার দায়ে ঢাকার আরেকটি আদালত ৪০ বিএনপি নেতাকর্মীকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় ২৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার। মামলার বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের ছয় জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এ ছাড়াও, অবরোধে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার আরেক মামলায় বিএনপির আট নেতাকর্মীকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। মামলার বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের চার জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

গত এক মাসে দণ্ডিতদের মধ্যে বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও রয়েছেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু প্রমুখকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির দাবি এসব মামলা বেশিরভাগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। নির্বাচন থেকে বিএনপি নেতাদের দূরে রাখতে জনপ্রিয় প্রার্থীদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা ও কারাদণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগ বিশেষ করে নিম্ন আদালত সম্পর্কে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আদালতের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য আমি প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করছি।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী
তাপদাহে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ আরও বাড়াল আবহাওয়া অফিস
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়াল সরকার
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা
সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন

আরও খবর