Header Border

ঢাকা, রবিবার, ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল) ২৬.৭২°সে

১ নভেম্বর থেকে খুলছে সুন্দরবনের সকল পর্যটনকেন্দ্র

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট : অবশেষে আগামী ১ নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্য বিধি মানার শর্তে সুন্দরবনের সকল পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ উম্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে একটি গেজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এরপর গত ২৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার বন বিভাগের প্রধান কার্যালয় (ঢাকা) থেকে বনের সকল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার বার্তা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও মোংলাসহ সকল দপ্তরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলা’কে জানান, অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পর্যটকদের বনে ভ্রমণ করতে হবে। এজন্য বন বিভাগের বিভিন্ন কার্যালয়ে নিদের্শনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া করোনাকালে এক সাথে বেশি লোকজন নিয়ে ভ্রমণ করা যাবেনা। মানতে হবে সামাজিক ও শারিরীক দূরত্বও। সেই সেত্রে অবশ্যই পর্যটন ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।

চলতি বছরের ১৯ মার্চ করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে বেকার হয়ে পড়ে এ শিল্পের সাথে জড়িত পর্যটন ব্যবসায়ী, মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। তারা সুন্দরবন পর্যটনদের জন্য খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করে আসছিল।

তারপর থেকে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাসেরও অধিক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বন বিভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে আগামী ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ সিদ্ধান্তের সাথে সাথে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন স্থাপনার উন্নয়ন, সংস্কার ও মেরামতে কাজ শুরুও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারণ বিগত ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বনের প্রধান আকর্ষণীয় স্থান করমজলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই সাথে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা। তারা তাদের নৌযানগুলোকে মেরামতসহ নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

করোনাকালে বেশ ক্ষতি হয়েছে বন বিভাগ ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের। বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সকলেরই।

এ বিষয়ে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আজাদ কবির বাংলা’কে বলেন, ‘বন্ধের ৭ মাসে কম হলেও অন্তত প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হতো এখান থেকে। ঠিক অন্যান্য কেন্দ্রগুলো থেকেও সম পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো, করোনা দুর্যোগের কারণে সেই ক্ষতিটাতো বনবিভাগের হয়েই গেছে।’

এদিকে ট্যুরিজম ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘আমাদের তো সবই শেষ। নৌযান অলস পড়ে থেকে সেগুলোতে নানা ধরণের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হয়েছে কর্মচারীদের। ধার-দেনা করে পুঁজি খাটিয়ে যে ব্যবসা শুরু করেছিলাম তা এখন যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। তারপরও যেহেতু অনুমতি দেয়া হচ্ছে আমরা সকল বিধি নিষেধ মেনেই ট্যুরিজম ব্যবসা পরিচালনা করবো।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

মতিঝিল থেকে ২৮ হাজার ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সরকার পতনের ছক আকছে আওয়ামী লীগ !
সব বিভাগে টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস
৪৪তম বিসিএসে ৪৩০টি পদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও এতে সায় দেয়নি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের ৩০ হাজার ৮০৯ ভবনের ক্ষতি
সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

আরও খবর